৮০০ কোটি টাকার টেন্ডার খতিয়ে দেখতে দুদকে অভিযোগ
বিপ্লব বিশ্বাস : স্বপ্ননগরের ৮০০ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘নয়-ছয়’ করার অভিযোগ উঠেছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণের প্রথম শ্রেণী ও বিশেষ শ্রেণীর তালিকাভূক্ত ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।
ঠিকাদারদের পক্ষে দাখিল করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, স্বপ্ননগরের ১১টি গ্রুপের ৮০০ কোটি টাকার আহ্বানকৃত দরপত্রে সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল কবিরের লাগামহীন দুর্নীতির অপপ্রয়াস চলছে। এই নির্মাণ প্রকল্পে আহ্বানকৃত দরপত্রে কম্প্রিহেনসিভ ডেভেলপার, নূর হোসেন ট্রেডার্স এবং বিশ্বাস বিল্ডার্সসহ নামস্বর্বস্ব অখ্যাত বিভিন্ন ভূয়া প্রতিষ্ঠানের কাছে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এজন্য ভুয়া কার্যাদেশ, সনদপত্র ও টার্নওভার ইত্যাদি তৈরি করে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দাখিল করে এবং এসব ভুয়া কাগজপত্র যাচাই করার জন্য পত্র লিখে নিজেরাই সিল স্বাক্ষর দিয়ে যাচাই করা হয়েছে বলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কাছে উপস্থাপন করার প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, এর আগে তার বিরুদ্ধে মিরপুর গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অধীনে স্বপ্ননগর প্রকল্পে নূর হোসেন ট্রেডার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে ভুয়া কাগজ দিয়ে প্রায় ৫৭ কোটি টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী তাদের বার্ষিক কনস্ট্রাকশন টার্নওভার ছিল না। এছাড়া সিমিলার ন্যাচার ওয়ার্ক কমপ্লেশন সার্টিফিকেটও ছিল না। সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাদের দরপত্রে ভুয়া সনদপত্র দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে কাজটি পাইয়ে দিয়েছে। এছাড়া তিনি ঘুষের বিনিময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে কমপ্রিহেনসিভ ডেভেলপারকে লালমাটিয়ায় ৫৭ কোটি টাকার ৩টি ভবন নির্মাণের কাজ দিয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সুনাম, সুখ্যাতি, মর্যাদা ও ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার স্বার্থে এ ধরণের অসৎ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
ঠিকাদারদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল কবির বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এই প্রকল্পের জন্য দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। দরপত্র মূল্যায়নের আগেই অভিযোগ আনা উদ্দেশ্যমূলক। যাদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখলইে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ