বরিশালে লোডশেডিংয়ে দুর্বিসহ জনজীবন দিনে বিদ্যুৎ মিলছে মাত্র ৬ ঘণ্টা
প্রশান্ত কুন্ডু, বরিশাল : তীব্র গরম আর ঘন ঘন বিদুৎ লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে বরিশালবাসীর জনজীবন। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হচ্ছে লোডশেডিং আর চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। প্রতিদিন গড়ে ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকছে। বাকি আট ঘণ্টা বিদ্যুত থাকলেও বসিন্দারা সর্বত্র থাকেন আতংকে। অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে ছোট বড় শিল্প কারখানাগুলোতে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র গরম আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। গ্রাম থেকে শহর সবখানেই লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়ছে। তবে শহরে লোডশেডিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে বিদ্যুৎ এলেও গ্রামের অবস্থা খুবই নাজুক। কোথাও কোথাও সারাদিনও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না।
অনুসন্ধানীতে জানা যায়, কোনো রকম একটু বাতাস, কয়েক মিনিটের বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ থাকে না বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৩০টি ওয়ার্ড এলাকায়। এ এলাকার বাসিন্দারা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড বরিশাল জোনের বি বি বি ১ ও ২ এর আওতাভুক্ত। সামান্য একটু বাতাস হলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকছে বিদুৎ ব্যবস্থা। কাউনিয়া এলাকার মো. আসলাম বলেন, বিভাগীয় শহর হলেও বাতাস আর বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ লাপাত্তা। রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ বিভাগের সংশিষ্ট জোনে ফোন করা হলে কেউ ফোন ধরেন না। ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, লোডশেডিং এর কারণে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পানি সংকটে সময়মতো গোসল, হাত-মুখও ধোয়া যাচ্ছে না। দিনের মতো রাতেও একই অবস্থা। লোডশেডিংয়ে গভীর রাতেও ঘুমন্ত মানুষকে আঁতকে উঠতে হচ্ছে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলীরা লোডশেডিং হচ্ছে স্বীকার করে বলেন, ২২ মে অর্থাৎ রোজার আগে লোডশেডিং কমে যাবে। ফরিদপুর গোপালগঞ্জের ইউনিটগুলো চালু হয়ে গেলে লোডশেডিং বন্ধ হয়ে যাবে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান