ট্রাম্পের সৌদি সফর : প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি
ওয়ালিউর রহমান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব সফর করেছেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম সফর এটি। সৌদি আরব বেছে নেওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো ভৌগলিক রাজনীতি। অর্থনৈতিক ও কৌশলগত উদ্দেশ্যও রয়েছে এখানে। সৌদি সফরে মুসলিম বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ তার হলো, বক্তৃতা দিলেন। বক্তৃতায় তিনি যা বলেছেন বা বোঝাতে চেয়েছেন তা হচ্ছে, তোমরা আমাদের সঙ্গে হাত মিলাও, আমাদের সাহায্য করো, তার জন্য তোমাদের যদি কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয় আমরা দিব। তিনি সমগ্র মুসলমান রাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন যে, আপনারা আসুন, আপনারা সহায়তা করুন, এখানে একটা সেন্টার করা হলো, এখানে গবেষণা হবে কী করে মৌলবাদ প্রতিরোধ করা যায়, তাদের তৎপরতা বন্ধ করা যায়। সেটা ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, সিরিয়া ইরাকের কথাও তিনি বললেন। ইয়েমেনের কথাও তিনি বলেছেন। এশিয়া সম্পর্কেও তিনি কথা বলেছেন।
ট্রাম্প যখন নির্বাচন করলেন তখন তার বক্তব্য ছিল, ‘ইসলামিক এক্সট্রিমিস্ট টেরোরিজম’। এখন সৌদিতে তিনি বলেছেন, এটা ঠিক এ রকম নয়। তিনি বলার চেষ্টা করেছেন, ইসলামিস্ট। ভুল করে ইসলামিক বলেছেন, উনার নির্বাচনী ড্রাফটটে ইসলামিস্ট ছিল। ইসলামিক আর ইসলামিস্ট তো এক নয়।
নির্বাচনের আগে তিনি বলেছেন, মুসলিম হেট আমেরিকা। এখন তিনি সেটা বলছেন না। বলছেন, তোমরা পৃথিবীর সিটিজেন, তোমরা ভালো মানুষ। ইসলাম শান্তির ধর্ম, সেই আদর্শকে তারা হাইজ্যাক করেছে। এটা আপনারাই বন্ধ করতে পারবেন এবং আপনারাই এটা বন্ধ করুন। তিনি আগে যে কথাগুলো বলেছেন তার থেকে ১৮০ ভাগ ফিরে এসেছেন। ফিরে এসেছেন তিনি সৌদি আরবে নেমে। তিনি মুসলমান নেতাদের সংশোধন করছেন, বলছেন, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি এবং এই যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে, আপনারা করছেন, আমরাও স্বল্প আকারে করছি। ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম, কিন্তু ইসলামের নামে যারা সন্ত্রাস করছে, ইসলাম তা কখনো সমর্থন করে না।
সৌদিতে তিনি প্রায় ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করলেন। এই সঙ্গে কাতারেও কিছু আর্মস বিক্রি করলেন। এর সঙ্গে একটা ইকোনোমিক ইন্টারেস্ট জড়িয়ে গেল।
পরিচিতি: সাবেক কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান