সলমনের গোটা পরিবারই জঙ্গি!
ডেস্ক রিপোর্ট : ২৫ মে- ম্যাঞ্চেস্টারের আত্মঘাতী জঙ্গি সলমন আবেদি একা ছিল না। তার পেছনে ছিল এক বড় জঙ্গি চক্র, যা ছড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি দেশ জুড়ে। এবং সম্ভবত আবেদি-পরিবারের অনেকেই সেই চক্রে জড়িত, বা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিল তাদের তৎপরতা সম্পর্কে। বরং ২২ বছরের সলমনই সম্ভবত স্রেফ ‘ভারবাহী গাধা’ ছিল। বোমা তৈরি করেছিল অন্য কেউ। সলমন সেটা ম্যাঞ্চেস্টার এরিনায় বয়ে নিয়ে গিয়েছিল মাত্র। তবে এই নাশকতা ঘটানোর আগে ত্রিপোলি গিয়েছিল সলমন।
সেখানে তার মগজধোলাই হয়েছিল বলে অনুমান। সলমনের বাবা রামাদান আবেদি এবং ছোট ভাই হাশেমকে বুধবার ত্রিপোলিতে আটক করা হয়েছে। ম্যাঞ্চেস্টারে আটক হয়েছে সলমনের বড় ভাই ইসমাইল। ব্রিটেনের জঙ্গি-দমন শাখা সোমবার রাতের পর থেকে ম্যাঞ্চেস্টার ও ওয়ারউইকশায়ারের একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে এক মহিলা–সহ ৮ জনকে আটক করে।
এদের মধ্যে একমাত্র ওই মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ব্রিটিশ পুলিস বুধবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমেরিকাকে ম্যাঞ্চেস্টারনাশকতার আর কোনও তথ্য তারা দেবে না। কারণ, এর আগে বিস্ফোরণের জায়গার কিছু প্রামাণ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ছবি তারা মার্কিন অন্তর্দেশীয় সুরক্ষা দপ্তরকে দিয়েছিল। সেসব ছবি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেছে। তার পরই এই সিদ্ধান্ত। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বুধবার ম্যাঞ্চেস্টারের হাসপাতালে ভর্তি আহতদের দেখতে যান। মোট ৬৪ জন সোমবারের ওই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে আহত হন। তাদের অবস্থা উদ্বেগজনক হলেও, নিহতের সংখ্যা ২২ জনেই থেমে আছে। আজকাল
সলমনের বাবা রামাদান আবেদি বুধবার নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির বিমানবন্দরের প্রাক্তন নিরাপত্তাকর্মী রামাদান এদিন সকালে তার ত্রিপোলির বাড়িতে বসে রয়টার টিভিকে দেওয়া এক লাইভ সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, তার ছেলে ওই আত্মঘাতী জঙ্গি ছিল না। ‘আমরা নিরীহ মানুষের হত্যায় বিশ্বাস করি না। আমরা এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত নই।’ বলছিলেন তিনি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ