মেরকেলের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া ইউরোপের শক্তিশালী সহযোগী হতে চায় ব্রিটেন
কামরুল আহসান: ডোনান্ড ট্রাম্পের অধীনে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেন আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ভরশীল অংশীদার নয়, ন্যাটো এবং জি-৭ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরে মিউনিখের এক সম্মেলনে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল এমন মন্তব্য করার পর তার কথার বিপরীতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এম্বার রুড জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে গেলেও আমরা এখনো ইউরোপের সঙ্গে সংযুক্ত আছি, এবং আমরা ইউরোপের প্রত্যেকটি দেশকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে আরো উন্নত হবে, ব্যবসা-বাণিজ্য, নিরাপত্তা সংক্রান্ত আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে শক্তিশালী হবে।
গতবছর গণভোটের ভিত্তিতে ব্রিটেন ইউরোপী ইউনিয়ন ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ত্যাগের কার্যক্রম শুরু করেছে। জার্মান চ্যান্সেল অ্যাঞ্জেল মেরকেল আগে থেকেই ব্রেক্সিটের ব্যাপারে নাখোশ। কারণ ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করা মানেই ইইউরোপীন ইউনিয়ন দুর্বল হয়ে যাওয়া। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নে জার্মানের প্রভাব ঠেকাতেই ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাদের একটা কারণ। কিন্তু, সম্প্রতি ন্যাটো ও জি-৭ সম্মেলনে মেরকেল আরো হতাশ হয়েছেন। বিশেষ করে ন্যাটো সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদাসিনতা এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি সম্পর্কে তার সিদ্ধান্তহীনতা মেরকেলকে আরো চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। তাই তিনি ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনের উপর আর বেশি ভরসা করতে পারছেন না। দেশে ফিরেই মিউনিখের এক সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের কথা নিজেদেরই চিন্তা করতে হবে। আমাদের নিরাপত্তার কথা আমাদেরই ভাবতে হবে। আমাদের হয়ে কেউ ভাববে না। আমাদের ভাগ্য আমাদেরই নির্ধারণ করতে হবে।
তার এ কথায় মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ব্রিটেন। ব্রিটেন শুরু থেকেই বলে আসছে তারা ইউরোপীয় ইউনিয় ত্যাগ করছে, ইউরোপ ত্যাগ করছে না। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এম্বার রুড বলছেন, আমরা মিসেস মেরকেলকে পুনঃর্বার নিশ্চিত করতে চাই যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট সচেতনা রয়েছে। কারণ, আমরা ইউরোপের অংশীদার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিটি রাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর বন্দনে যুক্ত। সুতরাং আমাদের অবস্থান নিয়ে দোদল্যমানতার কিছু নেই। আমরা এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্তিশালী অংশীদার। ফ্রান্স ২৪