গাছের মালিকানা দ্বন্দ্ব, আটকে আছে বেনাপোল খুলনা মহাসড়কের প্রশস্তকরণ কাজ
এম এ আর মশিউর,যশোর: যশোরে দুটি মহাসড়কের পাশের শতবর্ষীসহ ছোট বড় ৫ হাজার গাছ নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা পরিষদের মধ্যে দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। উভয় ওই গাছের মালিক বলে দাবী করছে। মালিকানা নির্ধারণে সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুটি সংস্থা। মালিকানা নির্ধারণ না হলে যশোর বেনাপোল খুলনা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২১ মার্চ একনেকের সভায় ৩২৮কোটি টাকা ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে যশোর-বেনাপোল জাতীয় সড়কের (দড়াটানা-বেনাপোল পর্যন্ত) ৩৮ কিলোমিটার যথাযথ মান ও প্রশস্ততার উন্নীতকরণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এই সড়কের উভয় পাশে শতবর্ষীসহ বিভিন্ন বয়সী ২ হাজার ৩১২টি গাছ রয়েছে। অপরদিকে চলতি বছরের ১৪ মার্চ একনেকের সভায় ৩২১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে যশোর-খুলনা (পালবাড়ি-নওয়াপাড়ার রাজঘাট) পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই মহাসড়কের দুই পাশে ২হাজার ৫৫৫টি বিভিন্ন বয়সী গাছ রয়েছে। তবে ওই গাছ ও ভূমির মালিকানা নিয়ে সওজ ও জেলা পরিষদের মধ্যে দ্বন্ধ দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের ১৮ মার্চ জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় গাছ ও ভূমি মালিকানা বিষয়ে উপ¯’াপন করা হয়। সওজ হাইওয়ে অ্যাক্ট অনুযায়ী ওই জমি ও গাছের মালিনা দাবি করে। অপর পে জেলা পরিষদের প্রতিনিধি সওজের দাবির বিরোধী করেন। তারা দাবি করেন, ২০১১ সালের ২ মার্চ আন্ত.মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভূমির নিরঙ্কুশ মালিক জেলা পরিষদ। চলতি বছরের ২০ মার্চ জেলা প্রশাসক বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য খুলনা বিভাগী কমিশনার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। সর্বশেষ জমির মালিনার বিষয়টি আন্ত.মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর ঝুলে আছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মহাসড়কের দুই পাশের গাছ ও জমির মালিক সওজ। আমরা নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করেছি। ওই গাছগুলো না কেটে প্রকল্প বান্তবায়ন সম্ভব নয়। জেলা পরিষদের মালিকানা দাবি সঠিক নয়। এ বিষয়ে যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল বলেন, যশোর-খুলনা, যশোর- বেনাপোল ও যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের জমি যশোর জেলা পরিষদের মালিকানাধীন। জেলা পরিষদ কখনো ওই মহাসড়কের জমি কিংবা গাছ হস্তান্তর করেনি। ফলে সওজের মালিকানা দাবি করার সুযোগ নেই। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান