ইফতার ও সেহরি : কী খাবেন, কি খাবেন না?
ডা. মো. শাহিনুল আলম
পবিত্র মাহে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে আমাদের যে খাদ্যাভ্যাস, এটা অনেকটাই ট্রাডিশন, চলে আসছে অনেকদিন ধরে। যা অনেকটা অস্বাস্থ্যকর, বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। ইফতারিতে যে খাবার খাই আমরা তা কতটুকু আমাদের স্বাস্থ্য উপাযোগী তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তাও খেয়াল রাখতে হবে। ইফতারে আমরা কি খেতে পারি, আর কি পারি না? ইফতারি শুরু হওয়া উচিত মিষ্টি ও পানি জাতীয় খাবার দিয়ে। সেটা বিভিন্ন ধরনের শরবত হতে পারে। যেমন বেল, বাঙ্গি, লেবুর শরবত হতে পারে। পেয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, হালিম, তেল জাতীয় খাবার ইফতারে খাওয়া উচিত নয়। কারণ রোজা রেখে, সারাদিন খালি পেটে এসব খাবার মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ইফতারিতে কোনোভাবেই তেল জাতীয় খাবার গ্রহণ করা সঠিক হবে না। সারাদিন খালি পেটে থাকার পর আমাদের ক্যালরি, প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উত্তম। রমজান মাসে একসঙ্গে অনেক খাবার খাওয়াও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সে জন্য প্রথমে অল্প কিছু ইফতারি খেয়ে, তারাবির আগে অল্প কিছু খেয়ে, নামাজ পড়ে, বিশ্রাম নিয়ে তারপর আবার খাওয়া উচিত।
সেহেরিতে কি খাওয়া উচিত? আমরা রোজা রাখি। এর ফলে দীর্ঘ সময় আমাদের অনাহার থাকতে হয়। এই সময় আমাদের ক্যালরি ক্ষয় হয়। ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করার জন্য মুরগির মাংস, ডিম জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ডায়বেটিস রোগীদের জন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। এমনিতেই ডায়াবেটিস রোগীদের তেল বা মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগীরা যে ঔষধগুলো খান সেগুলো একটু পরিবর্তন করে খেতে হবে। যে ঔষুধটা সকালে খাওয়ার কথা সেটা ইফতারিতে, যেটা দুপুরে ছিল সেটা তারাবির নামাজের পর, অন্যথায় যেটা রাতের ছিল সেটা সেহেরিতে খেতে হবে। ঔষুধের পরিমাণটা কম হবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়/মতামত গ্রহণ: ফাতেমা-তুজ-জোহরা
সম্পাদনা: আশিক রহমান