গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই!
রমজান আমলের বসন্তকাল। এ মাসে যেকোন আমলেরই রয়েছে ৭০ গুণ সওয়াব। এ মাসের অন্যতম আমল দান-সদকা। গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি সাহায্যের
হাত বাড়িয়ে দেওয়া। কারণ রোজা ফরজ করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। আর এ কল্যাণ তখনই অর্জিত হবে যখন রোজাদার দানের হাত প্রসারিত করবে।
আমাদের দেশে রমজানে গরীব দুঃখীরা পথে ঘাটে মসজিদে পাড়ায় ভিড় জমিয়ে থাকেন। ধনীদের দিকে বুকভরা আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকেন। ধনীদের তাদের দুঃখ মুছনে এগিয়ে আসা উচিত।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘উপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম।’ আর মাহে রমজানে দানের ফজিলত অনেক বেশি। এজন্য অন্য ১১ মাসের তুলনায় এ মাসে অধিক দান-সদকা করা উচিত। বিশেষভাবে হাওড়বাসী কষ্টকর জীবন সংসাওে জন্য সাধ্য মতো সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া খুব জরুরি।
রাসুলুল্লাহ সা. মানুষের মধ্যে সবচেয়ে উদার ও দানশীল ছিলেন। রমজানে যখন হজরত জিবরাইল (আ.) তার কাছে নিয়মিত আসতেন এবং কোরআন পড়ে শোনাতেন, তখন তার দানশীলতা আরও বেড়ে যেত। আনাস (রা.) বলেন, ‘নবী করিম (সা.)-এর চেয়ে বেশি দানশীল আমি আর কাউকে দেখিনি’ (মুসলিম)।
রাসুল (সা.) তার উম্মতদের শিক্ষা দিয়েছেন, রমজান মাসে দান ও বদান্যতার হাত সম্প্রসারিত করতে। হাদিসে রমজান মাসকে হামদর্দি বা ‘সহানুভূতির মাস’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
রমজানের রোজা ফরজ করার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, গরিব-দুঃখী মানুষের কষ্ট অনুভব করা। যারা প্রাচুর্যের মাঝে জীবনযাপন করেন তারা সারা বছর ক্ষুধা ও পিপাসার যন্ত্রণা না বুঝলেও রমজানে কিছুটা বোঝেন। এই বোঝা তখনই সার্থক হবে যখন তারা গরিব-অসহায়দের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। রমজান মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি নফল কাজের সওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন। সে হিসাবে রমজানে এক টাকা দান করে ৭০ টাকা দানের সওয়াব লাভ করা সম্ভব।
এ জন্য প্রত্যেক রোজাদারের উচিত নিজের সাধ্য অনুযাযী অনাথ, আর্ত, সহায়-সম্বলহীন ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য দানের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করো, নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর তোমরা মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করো। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদের ভালোবাসেন’ (আল কুরআন)। যড়সধঁহধুঁন@ুধযড়ড়.পড়স