চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শাহরিয়ার নাফিসের পর সেঞ্চুরি পেলেন তামিম
এম এ রাশেদ : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটি মাত্র জয় বাংলাদেশের। ২০০৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের একমাত্র জয়টি এসেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। অসাধারণ সেই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল বাংলাদেশের বাঁ-হাতি ওপেনার শাহরিয়ার নাফীসের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরির ইনিংসও ছিলো সেটা। ২০০৬ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছিলই না বাংলাদেশ। ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ খেলতে পারেনি আইসিসি নির্ধারিত নিয়মে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি বলে। এবার যোগ্যতা অর্জন করেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলছে মাশরাফিরা।
উদ্বোধনী ম্যাচেই এবারের ৮ম আসরের অন্যতম ফেবারিট ইংল্যান্ডের মুখোমুখি। কেনিংটন ওভালেই গতকাল টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। শুরু থেকে তামিম ইকবাল আর সৌম্য সরকার কিছুটা ধীর গতির ব্যাট করতে থাকেন। পরবর্তীতে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন দু’জন। সৌম্য আউট হয়ে গেলেও অনেকদিন পর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ইমরুল কায়েসকে নিয়ে কিছুদুর এগিয়ে নিয়ে যান তামিম। এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় স্কোরের পথে এগিয়ে নিয়ে যান তামিম ইকবাল। এদিন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান তামিম তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৯ম সেঞ্চুরি। এ সেঞ্চুরির ফলে একই সঙ্গে শাহরিয়ার নাফীসের পর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে তুলে নিয়েছেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। নাফীসের সেঞ্চুরির ইনিংসটা ছিল ১২৩ রানের। নাফিস ওই ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন। অষ্টম আসরের দু’দলের এ শুভ উদ্বোধনী ও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসের ৪৪.৩ ওভারে ২৬১ রানে লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের বলে উইকেট রক্ষক জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল করেছেন ১৪২ বলে ১২৮ রান।
যাতে চোখ ধাঁধানো ১১টি চারের সাথে ছিল ৩টি বিশাল ছক্কা। তামিমের অসাধারণ ইনিংসের কল্যাণে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০০ রান করতে পেরেছে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান সংগ্রহ করে মাশরাফিরা।
সম্পাদনা-এল আর বাদল