ধনীরা ধনী, গরিবরা আরও গরিব হবে
মোশরেফা মিশু
ঘোষিত বাজেট অনেকটা বিদেশ নির্ভর। এটি এমন একটা বাজেট, যার মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় বিকাশের কোনো রকম সম্ভাবনা নেই। এ বাজেটের মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক বেকার জনগোষ্ঠীকে আশার আলো দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের কোনো ওয়ে আউট বা কীভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে সে রকম কোনো পথ দেখাননি। এখানে কালো টাকা সাদা করার বিধান রয়েছে। সর্বোপরি এই বাজেট মূলত ধনীকে ক্রমাগত আরও ধনী করবে এ রকম একটি পদ্ধতি রয়েছে। আর দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাপন যে আজ বিপন্ন, সেখান থেকে সুস্থভাবে ফিরতে পারবেন এ রকম কোনো দিক নির্দেশনা নেই বাজেটে। ঘোষিত বাজেট আকারে বিশাল হলেও, কোনো চমক নেই। কেননা আমরা যদি গত অর্থবছরের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যায় যে, গত অর্থ বছরের বাজেটের এখনো প্রায় ৪০ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়নি। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে এ বাজেট কীভাবে বাস্তবায়িত হবে সেক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা নেই।
বাজেটে কিছু কিছু ভোগ্য পণ্যের দাম কমানোর কথা বলা হয়েছে। যদি বাজারে সঠিক মনিটরিং বা নজরদারি বিষয়টি না থাকে তাহলে এ বাজেট মানুষের জীবনযাত্রার মানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি যে, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার অভাবে, বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। আর একবার দাম বাড়লে তা কমার সম্ভাবনা কম থাকে। এ বিষয়টি সাধারণ মানুষকে ভোগাতে পারে। এ বিশাল আকারের বাজেট সরকারের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হবে। কেননা এ বাজেটে বিরাট একটা অংশ ঘাটতি রাখা হয়েছে। এ বিশাল ঘাটতি কীভাবে পূরণ করা হবে সে বিষয়টা পরিষ্কার নয়। শুধু রাজস্ব থেকে আসা অর্থ দিয়েই কি এই ঘাটতি পূরণ করা হবে, নাকি অন্য কোনো উপায়ে ঘাটতি মোকাবিলা করা হবে এ বিষয়টি সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
পরিচিতি: শ্রমিক নেত্রী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: বায়েজিদ হোসাইন/সম্পাদনা: আশিক রহমান