বেডরুম জেহাদি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতীয় সেনারা
ডেস্ক রিপোর্ট : পাথর নয়। বন্দুকের গুলিও নয়। কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ‘বেডরুম জেহাদি’রা। বাড়িতে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় জেহাদ ছড়াচ্ছে এই নব্য জেহাদিরা। জ্বালাময়ী বক্তব্যে যুবকদের ফাঁদে ফেলতেও তাদের অসুবিধা হচ্ছে না। আর এদের চিহ্নিত করা অসুবিধাজনক। ব্যবস্থা নিতে গেলেও স্থানীয়রা বাধা দিচ্ছে। কারণ, এলাকায় এদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। এদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হলে নিরাপত্তা কর্মীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। এক প্রবীণ নিরাপত্তা আধিকারিক বলেছেন, ‘সাধারণ যুদ্ধে শত্রুকে সামনে দেখা যায়। তাদের অবস্থানও জানা যায়। জল, জঙ্গলে যুদ্ধ করা সুবিধা। নতুন জেহাদিরা কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনে লড়াই করে।’ পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীদের খবর পেয়ে তাদের ধরতে গেলেই দেখা যাচ্ছে স্থানীয়রা পাথর ছুঁড়তে শুরু করেছে সেনাকে লক্ষ্য করে। এত কম সময়ে কীভাবে ওরা জমায়েত হল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে সেনা। উঠে আসে সোশ্যাল মিডিয়ার কথা। জেহাদ ছড়াতে কাশ্মীরেই থাকতে হবে এমন নয়। রাজ্যের বাইরে, এমনকী বিদেশ থেকেও নানা গুজব ছড়িয়ে যুবকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এটা ভার্চুয়াল য্দ্ধুক্ষেত্র। যেখানে রক্ত দিয়ে যুদ্ধ হয় না। শব্দের লড়াই চলে। যুবকদের মনে ছাপ রেখে যায়।’ সোফায় বসে টিভি দেখতে দেখতে চ্যাট করতে করতেই জমায়েতের প্রস্ততি নেওয়া যায়।
কাশ্মীর থেকে জেহাদ পৌঁছে দেওয়া যায় দিল্লিতেও। এই নিয়ে এক কাশ্মীরি পি ত কনস্টেবলের কথা বলেছেন নিরাপত্তা আধিকারকিরা। খোঁজাখুঁজির পরে তাকে ৯০ কিলোমিটার দূরে পাওয়া যায়। তার অনেক আগেই চ্যাট করে নিখোঁজ হওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত খবর পেয়ে যান পি তরা। সরকার চ্যাট গ্রুপের অ্যাডমিনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেও কাজ হচ্ছে না। সূত্র : আজকাল, সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ