সুন্দরবনে আগুন, বন বিভাগের মামলা দায়ের
ডেস্ক রিপোর্ট : সুন্দরবনে আগুনের ঘটনায় দুই মৌয়ালকে আসামী করে শরনখোলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগুন লাগার ছয় দিন পর বন বিভাগের পক্ষ থেকে বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে মৌচাক ভেঙে মধু আহরণ এবং চাক ভাঙার কাজে ব্যবহৃত মশাল (আগুনের অংশ বিশেষ) থেকে বনে অগ্নিকান্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে মামলা দায়েরের পর এখনো পুলিশ আাসামিদের ধরতে পারেনি।
আসামীরা হচ্ছেন, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন উত্তর রাজাপুর গ্রামের নজির আহম্মেদের ছেলে মো. আলম হাওলাদার (৪৩) এবং এই গ্রামের আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে আল-আমিন হাওলাদার (৩৩)। দুইজন মৌয়াল হিসেবে পরিচিত বলে বন বিভাগ জানায়।
মামলার বাদি বন বিভাগের নাংলি ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মিজানুর রহমান মোল্লা জানান, প্রাথমিক তদন্তে তাদের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে বনসংলগ্ন গ্রামের আলম হাওলাদার এবং আল-আমিন মধু আহরণ করতে অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছিল। তারা আগুন দিয়ে মৌচাক ভাঙার পর ওই মশাল বনের মধ্যে ফেলে রেখে ছিল। মৌচাক ভাঙার কাজে ব্যবহৃত আগুনের ওই মশাল থেকে সুন্দরবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তারা নিশ্চিত হওয়ার পর ওই দুইজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল জানান, সুন্দরবনে আগুনের ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে দুইজনকে আসামি করে একটি এজাহার দেওয়া হয়। বন আইনে ওই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, বনে আগুনের ঘটনায় দুই মৌয়ালকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া বন বিভাগের তিন সদস্যের একটি টিম আগুন লাগার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার সঠিক কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া যাবে।
তিনি দাবি করেন আগুনে সুন্দরবনের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। এক থেকে দেড় একর বনের জ্বালানী জাতীয় বলাগাছ, লতাপাতা এবং পরিবেশের সব মিলে দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সূত্র: দ্য রিপোর্ট