যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়া তদন্তে আগ্রহের কেন্দ্রে এবার নাইজেল ফ্যারাজে
পরাগ মাঝি : গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পরপরই তার সঙ্গে নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে দেখা করতে গিয়েছিলেন ব্রিটেনের ব্রেক্সিটপন্থি ইউকেআইপি নেতা নাইজেল ফ্যারাজে। শুধু দেখা করাই নয়, ট্রাম্পের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবিও তিনি পোস্ট করেছিলেন টুইটারে। সারা বিশ্বকে অবাক করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া ট্রাম্প যখন আলোচনা কেন্দ্রে তখন নাইজেল ফ্যারাজের ওই সাক্ষাতটি সবারই একটু চোখে লেগেছিলো। বোঝাই যাচ্ছিলো যে, কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে এ দু’জনের বোঝাপড়া বেশ ভালো। তবে, বোঝাপড়ার ক্ষেত্র ঠিক কোনটি এবং মার্কিন নির্বাচনে ফ্যারাজের কোনো ভূমিকা আছে কি-না, তা খতিয়ে দেখতে এবার কৌতূহলী হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়া বিষয়ক তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে, গার্ডিয়ান একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, মার্কিন নর্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছে যে কমিটি তাদের সঙ্গে ফ্যারাজের অতিরিক্ত মাখামাখি তাকে সন্দেহের আওতায় নিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য, গতবছর ডিসেম্বরে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং মস্কোর একজন ব্যাংকারের সঙ্গে কুশনারের বৈঠক ও অন্যান্য যোগাযোগের কারণে এফবিআই তাকে নিয়েও তদন্ত করছে। বলা হচ্ছে, কুশনারই বর্তমানে হোয়াইট হাউসের একমাত্র কর্মকর্তা যিনি রাশিয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্তনাধীন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। সংবাদদাতারা বলছেন, কুশনারের কাছে প্রাসঙ্গিক অনেক তথ্য থাকতে পারে।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া এবং ট্রাম্প শিবিরের মধ্যে সংযোগের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসও। দ্য হিল, গার্ডিয়ান