আফগান প্রসেডিন্টেরে পদত্যাগরে দাবতিে বক্ষিোভ, পুলশিরে গুলতিে নহিত ৮
ইমরুল শাহদে : আফগানস্তিানরে রাজধানী কাবুলে গত বুধবার ভয়াবহ বোমা হামলায় হতাহতদরে ছবি হাতে শুক্রবার সরকার বরিোধী বক্ষিোভে কাবুলরে রাজপথে নামে হাজারো মানুষ। আফগান প্রসেডিন্টেরে পদত্যাগরে দাবতিে তারা মছিলি করে প্রসেডিন্টেরে প্রাসাদরে দকিে যাওয়ার সময় পুলশিরে বাধার সম্মুখীন হন। বক্ষিোভকারীদরে মুখ থকেে শোনা যায় সরকার ও তালবোন বরিোধী বভিন্নি শ্লোগান। বক্ষিোভকারীরা পুলশিি বাধা অতক্রিম করে যতেে চাইলে সংর্ঘষ বধেে যায়। এ সময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা জবাবে পুলিশের দিকে ইট-পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালালে ৮ জন নিহত হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা প্রেস টিভি এবং আবদুল হাফিজ মানসুর নামে এক সংসদ সদস্যও নিহতদের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। আফগান গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, দেশটির একজন সংসদ সদস্যের ছেলে সালেম ইজাদ্দারও গুলিতে মারা গেছেন। পুলিশের গুলির পর বিক্ষাভকারীরা সহিংস হয়ে ওঠে এবং সংঘর্ষে অন্তত চার পুলিশ আহত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, শুক্রবারের এই প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের হাতে বুধবারের বিস্ফোরণে হতাহতদের ছবি ধরা ছিল। তারা এজন্য ঘানি ও দেশটির প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহকে দায়ি করে সেøাগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা বোমা হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারও দাবি করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, কাবুলের এই হামলার জন্য আফগান গোয়েন্দারা হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও পাকিস্তানকে দায়ি করলেও পাকিস্তান তা নাকচ করে দিয়েছে এবং পাকিস্তান বলেছে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তালেবানরাও হামলার দায় অস্বীকার করেছে। কিন্তু ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিক্ষুব্ধ জনতা মনে করে, বর্তমান সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হওয়া দরকার তাদেরকে পদত্যাগে বাধ্য করতে। রয়টার্সকে কেউ কেউ বলেছেন, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের কোনো পারঙ্গমতা নেই। একজন একটি ফরাসী বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, সরকার এসব সহিংসতা ঠেকাতে কিছুই করছে না। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর আফগানিস্তানে কয়েক হাজার সেনা পাঠাতে পেন্টাগনের চাপ বাড়ছে। তাদের একজন কমান্ডার মন্তব্য করেছে যে, আফগানিস্তানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বুধবারের ভয়াবহ হামলায় কাবুলের কূটনৈতিক পাড়ায় নিহত হয়েছে ৯০ জন এবং আহত হয়েছে ৩৫০ জন। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, প্রেসটিভি