মূলধারা ও বিকল্প মিডিয়ায় সমাজ বাস্তবতা
গধরহংঃৎবধসরহম ঈড়হাবহঃরড়হধষ মিডিয়ার বাইরে যে ধরনের মিডিয়া আছে তাই বিকল্প মাধ্যম। ফলে মেইনস্ট্রিমিংয়ের বাইরের মিডিয়া মাত্রই বিকল্প মাধ্যম হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিকল্প মাধ্যমের ধারণাটা একটা আদর্শিক বিষয়। মূলধারার প্রচলিত মিডিয়ার বাইরে যে মিডিয়া তাই বিকল্প মাধ্যম। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার যেসব সীমাবদ্ধতা অর্থাৎ ‘প্রাতিষ্ঠানিক মিডিয়ার ফর্মগুলোর বাইরের যা সেটিকে বিকল্প মাধ্যম বলা যাবে তবে সেটি খ-িত অর্থে। অন্যদিকে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার যে সীমাবদ্ধতা আছে অর্থাৎ ঢ়ৎড় ঢ়বড়ঢ়ষব ঔড়ঁৎহধষরংস করতে না পারা এবং এর বাইরে যদি অন্য কোনো ফর্মে কেউ যদি ঢ়ৎড় ঢ়বড়ঢ়ষব ঔড়ঁৎহধষরংস করে তাহলে সেটিকে বিকল্প মাধ্যম বলা হবে তবে সেটি খ-িত ভাবনা। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার সবটাই বিকল্প হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিকল্প মিডিয়ার একটা রাজনৈতিক কাঠামো থাকে এবং এটা অনেক সময় জনগণের স্বার্থ ঘনিষ্ট থাকে। অর্থাৎ বিকল্প মাত্রাই বামপন্থি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সামাজিক আন্দোলনে বিকল্প মাধ্যমের ভূমিকায় আন্দোলনকারীদের অংশগ্রহণ সবক্ষেত্রে ভালো। যেহেতু তাত্ত্বিকভাবে এটা প্রমানিত যে, মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সমাজের অপরাপর যে শক্তিশালী গ্রুপ (সরকার, বিজনেজ এলিট, পলিটিক্যাল এলিট, ক্যালচারাল এলিট, সিভিল সোসাইটি, পাওয়ারফুল সিভিল সোসাইটি) রয়েছে তাদের সঙ্গে সরকারের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বা লেনদেনের সম্পর্ক থাকে। ফলে একটা আরেকটার খুব বেশি বিরোধিতা করতে পারে না। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জানার জন্য মিডিয়াকে অনেক ক্ষেত্রে সরকারের উপর নির্ভর করতে হয়। তাদের প্রতিষ্ঠান বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারের উপর এক ধরনের নির্ভর করতে হয়। নতুন সিদ্ধান্তের কারণে জনগণ অবহিত হয় এবং সরকারের ইমেজ বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ মূলধারার মিডিয়ার সঙ্গে সরকারের একটা বোঝাপড়ার সম্পর্ক থাকে।
লেখক: অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়
মতামত গ্রহণ: ফাতেমা-তুজ-জোহরা/সম্পাদনা: আশিক রহমান