নিমতলী ট্র্যাজেডির ৭ বছর পুরান ঢাকার বেশিরভাগ এলাকা এখনো অনিরাপদ
সুজন কৈরী : রাজধানীর নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকা-ের পর এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয় পুরান ঢাকার অধিকাংশ এলাকা। এলাকাগুলোতে এখনও দাহ্য পদার্থের কারখানা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এতে নিমতলী ট্র্যাজেডির মতো আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ৪শ অবৈধ গুদামের তালিকা করেছিল ফায়ার সার্ভিস। তালিকা ধরে উচ্ছেদ অভিযান শেষ হয়নি আজও।
ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্যমতে, পুরান ঢাকার ৮০ শতাংশ বসতবাড়ির নিচতলায় বিভিন্ন ধরনের বিপদজনক দাহ্য রাসায়নিক কারখানা ও গোডাউন রয়েছে। এতে ওই এলাকার জনজীবন আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়ির নিচে রাসায়নিক দ্রব্যের ছোট-বড় দোকান অথবা প্লাস্টিক কারখানা রয়েছে। গত কয়েক বছরে ওই এলাকায় কমপক্ষে ১৫টি ছোট-বড় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে গতকাল শনিবার দিবসটি উপলক্ষ্যে নিমতলীর মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া, মিলাদ মাহফিল, গরিব দুঃখীদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। নিমতলী ট্রাজেডি স্মরণে নির্মিত ‘ছায়া স্মৃতিস্তম্ভে’ হতাহতদের পরিবার, স্থানীয় সংসদ সদস্য, মেয়র, ওয়ার্ড কমিশনার ও কাউন্সিলরসহ সমাজের বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের (অপারেশন) পরিচালক মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, পুরাতন ঢাকায় তো রাস্তা বলতে কিছুই নেই। এখানকার ৭৬ শতাংশ রাস্তা সরু। যেভাবে আমরা যুদ্ধ করে যাচ্ছি, যদি ভূমিকম্পের মতো একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা হয় তাহলে এটা খুবই কঠিন হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীর ৪৩ নম্বর বাড়িতে রাত ৯টার দিকে কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এতে ১২৪ জনের প্রাণহাণি ঘটে। এছাড়া আরও দুই শতাধিক মানুষ দগ্ধ হন। সম্পাদনা : মেসবাহ উল্লাহ শিমুল