মন্ত্রণালয়ে চালু হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক হাজিরা
ফারুক আলম : সব মন্ত্রণালয়ে চালু হতে যাচ্ছে ইলেক্ট্রনিক ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি। ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে তিন মন্ত্রণালয়ে ইলেক্ট্রনিক হাজিরা কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই পদ্ধতিতে মনিটরিং হবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে হাজিরা। এতে কেউ বিলম্বে অফিসে হাজির হলে, সেটিরও রেকর্ড থাকবে। ইলেক্ট্রনিক হাজিরা পদ্ধতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাসহ জনপ্রশাসনের সামগ্রিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে মন্তব্য সরকার সংশ্লিষ্টদের।
সচিবালয়ে প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কয়টায় আগমন এবং প্রস্থান করছেন তা জানতে ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইলেক্ট্রনিক হাজিরা চালু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ইলেক্ট্রনিক হাজিরা চালু হলেও কয়েকদিন পর ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র নষ্ট হয়ে যায়। এতে কিছুটা বিপাকে পড়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সরকারি কর্মচারী বিধি-১৯৭৯ অনুযায়ী প্রত্যেকে সকাল ৯টায় অফিসে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও রাজধানীতে যানজট অথবা হঠাৎ কোন সমস্যা বিষয় চিন্তা করে ৯টা ৫ মিনিট থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে অফিসে উপস্থিতির সময় নির্ধারণ করা হচ্ছে। এরপর যারা অফিসে আসবেন তাদেরকে লেট হিসেবে ধারা হবে। আর এ হাজিরা সিট স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসের শেষে পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, গত সপ্তাহ ধরে সচিবালয়ে ইলেক্ট্রনিক হাজিরা পদ্ধতির প্রাথমিক কার্যক্রম চলছে। আগামী সপ্তাহ চূড়ান্ত কার্যক্রমের জন্য মিটিং বসবে। সেখানেই হাজিরা কলা-কৌশল নির্ধারিত হবে। এখন প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ১০টায় অফিসে এসে ৯টায় খাতায় লেখতে পারতেন। এখন সেই সুযোগ নেই, ডুকুমেন্ট থেকে যাবে। এতে হাজিরা নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হবে না। ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৪শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারির আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীদেরও আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে কিনা এ সম্পর্কে তিনি জানেন না। সম্পাদনা : আঞ্জুমান আরা অনু