ভারতকে জব্দ করতে চায় পাকিস্তান
ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতকে জব্দ করতেই যেচে কুলভূষণ বিতর্ক খাড়া করেছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক আদালতে লিখিত অভিযোগ জানাল পাক অধিকৃত সিন্ধ প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জয় সিন্ধ মুতাহিদা মহজ। আইসিজে ছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে ওই চিঠি পৌঁছেছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ছবহার বন্দর ব্যবহার নিয়ে ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত ছাবাহার বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের জন্য বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। বিনিময়ে ছাবাহার বন্দর ব্যবহারের অধিকার পায় তারা। এই চুক্তি ভালভাবে নেয়নি পাকিস্তান। আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার অন্য দেশগুলিতে ভারতের অর্থনৈতিক করিডোর গড়া নিয়েও আপত্তি ছিল তাদের। তাতে বিঘœ ঘটাতেই কুলভূষণ যাদবকে হাতিয়ার করেছে ইসলামাবাদ। চিঠিতে দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলের নজর টানার চেষ্টা করেছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান শফি মহম্মদ বুরফাত। আজকাল
গত কয়েক দশক ধরে চলে আসা রক্তপাত, গণহত্যা, অবিচার, বর্বরতা, ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপ, ধর্মীয় চরমপন্থা, সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা এবং নিপীড়নের জন্য এই রাজনীতিকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর মতে, কুলভূষণ একজন নিরীহ ভারতীয়। যাঁর বিরুদ্ধে চরবৃত্তির ভুয়ো অভিযোগ এনেছে পাকিস্তান। যাতে আন্তর্জাতিক মহলের সামনে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়। পাকিস্তান যে প্রত্যক্ষভাবে সন্ত্রাসে মদত জোগায়, তা জানতে বাকি নেই আন্তর্জাতিক মহলের। তাই কুলভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করে আদতে ভারতের গলা চেপে ধরতে চাইছে তারা। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তায় বিঘœ ঘটিয়ে ভারতই যে তাদের নাশকতায় মদত জোগাতে বাধ্য করছে, যেনতেন প্রকারে এমনটাই প্রমাণ করতে চাইছে। সেইসঙ্গে তাদের অধীনে থাকা নিপীড়িত ঐতিহাসিক জাতির কণ্ঠও রোধ করতে চাইছে ইসলামাবাদ।
শফি মহম্মদ বুরফাতের দাবি, ভার ছবাহার বন্দরের আধুনিকীকরণে হাত লাগানোয় পাকিস্তানের গোয়াদর প্রকল্প এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের সাফল্য চাপা পড়ে গিয়েছে। গোয়াদর-ছবাহার প্রতিযোগিতা নিয়ে তো দেশের সংবাদমাধ্যমও উত্তাল। সম্পাদনা : আঞ্জুমান আরা অনু