পাকিস্তানকে ৩২০ রানের লক্ষ্য দিল ভারত
স্পোর্টস ডেস্ক : বৃষ্টি হানা দিয়েছিল। আবার চলেও গেল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে হুমকি দিয়ে। থেমেছিল ভারতের ইনিংস ৯.৫ ওভারে যখন নামে বৃষ্টি। আধঘণ্টা বেশি সময় সবাইকে মাঠের বাইরে বসিয়ে রাখে বেরসিক এই বর্ষণ। বার্মিংহামের এজবাস্টনের মাঠে আবার খেলা নেমে আসে। রোহিত শর্মা ও শিখার ধাওয়ান তাদের জুটিটাকে ১৩৬ রান পর্যন্ত নিয়ে থামেন। দুজনেই করেন ফিফটি। তারপর শিখরের বিদায়। রোহিত প্রস্তুতি ম্যাচে প্রস্তুতি ঠিকমতো করতে না পারলেও আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই বড় কিছুর আশা দেখাচ্ছেন। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৩২ ওভারে ১ উইকেটে ১৭১ রান ভারতের। রোহিত ৭৬ ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি ২৩ রানে ব্যাট করছেন। শিখর ৬৮ রান করে ফিরেছেন। তবে রোহিত শর্মার দুর্ভাগ্য, কোহলিকে সঙ্গী করে পাক বোলারদের ভালোভাবে পেটালেও টিকতে পারলেন না, আর অল্পের জন্য সেঞ্চুরিও পেলেন না। ১১৯ বলে ৯১ করে রানআউট হয়ে মাঠ ছাড়েন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। তখন দলীয় রান ৩৬ ওভারে ১৯২। এরপর যুবরাজ সিং কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে ভালোই লড়ছিলেন। কিন্তু হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ব্যক্তিগত ৩২ বল খেলে ৫৩ রান দিয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর পঞ্চম ব্যাটসম্যান হারদিত পান্ডিয়া নেমে দুর্দান্ত শট খেলে ভারতের রানের বহর বাড়িয়ে দেন। তার উপর কোহলি তো রয়েছেই। কোহলির হার না মানা ৮১ আর পান্ডিয়ার ২০ রানে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ৩ উইকেটে ৩১৯ রানে।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ ‘বি’তে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দলের জন্যই এটি প্রথম ম্যাচ। ভারতের শিরোপা ধরে রাখার লড়াই এবারের আসর। পাকিস্তানের জন্য টুর্নামেন্টটি প্রথম শিরোপা জয়ের মিশন। আর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এই ম্যাচ আসলে ক্রিকেট খেলাটির চেয়েও বড় কিছু। যে ম্যাচে পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ টস জিতে কোহলির ভারতকে পাঠান ব্যাটিংয়ে। তারপর খুবই সতর্ক শুরু রোহিত-শিখরের।
মোহাম্মদ আমিরের মেডেন দিয়ে বোলিং শুরু পাকিস্তানের। আরেক প্রান্তে স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। ৫ ওভারে মোটে ১৫ রান। বাউন্ডারি সেখানে ২টি মাত্র। এরপর বিদ্যুৎ চমকায়। বৃষ্টি আসে। ১০ ওভারের ঠিক আগে যখন থামতে হয় দুদলকে তখন ভারতের রান মাত্র ৪৬। উইকেট পড়েনি। কিন্তু রোহিত-শিখরের মতো আগ্রাসী ওপেনিং জুটির কাছে এটা কোনো রান?
বৃষ্টি থামলে মাঠে ফিরে ভারত যে খুব চালিয়ে খেলেছে তা নয়। পাকিস্তান উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করে গেছে। আর ভারতের ব্যাটসম্যানরা রুখতে রুখতে সুযোগ বুঝে মেরে গেছেন। খুব মেরেছেন তা নয়। তবে রানের গতি যেন ভালো থাকে সেই চেষ্টায় ত্রুটি থাকেনি। এর মাঝেই ফিফটি হয়ে যায় দুই ওপেনারেরই।
২০তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজকে শিখরের মারা টানা তিন বাউন্ডারি এই ম্যাচের প্রথম আগ্রাসী ব্যাটিং। ওই ¯্রােতেই ফিফটি পেরিয়ে যান শিখর। রোহিত অবশ্য শাদাবকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পেয়ে যান তার আগে। দুই নির্ভার ব্যাটসম্যান এরপর দারুণ মারতে থাকবেন এমন ভাবনা যখন তখন তরুণ শাদাবের বলে শিখর ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। ১৩৬ রানের প্রথম জুটিতে তার অবদান ৬৫ বলে ৬৮। যেখানে ছক্কা একটি। বাউন্ডারি ৬টি।