ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রকে তদন্ত কাজে সহায়তা দেবে বাংলাদেশ
হুমায়ুন কবির খোকন ও মেসবাহ উল্লাহ শিমুল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ক্ষমতা চ্যুৎ করার অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুৎ করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করছে মার্কিন সিনেটে। এবিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী ও নেতারা মনে করছেন,এটি মার্কিন সিনেটের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ সরকারও তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করবে। আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এ প্রসঙ্গে বলেছেন,মার্কিন সিনেটই এখন স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এটি এ দেশের জন্য সুখবর। তদন্তে সঠিক তথ্য প্রকাশ হোক আমরা এটি চাই। আমরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখব্।ো
আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সরকারকে প্রভাব খাটানোর মতো দেশদ্রোহী কাজের জন্য ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি সরকার খতিয়ে দেখছে। আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার সকল তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে। সূত্র জানায়,আইন মন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে হিলারির নির্বাচনে ড.ইউনূস টাকা দেওয়ার বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ায় তা মিথ্যা এবং প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানিয়েছিল ইউনূস সেন্টার। আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, মার্কিন নির্বাচনে হিলারীকে টাকা দিয়ে ড.ইউনূস অনেক নাচানাচি করেছেন। তারা ভেবেছিল হিলারী নির্বাচিত হয়ে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে। এখন হিলারীর বিরুদ্ধে মার্কিন সিনেটের পদক্ষেপে প্রমাণিত হয়েছে মন্ত্রী সঠিক ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি দেখছেন। দেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তিনি সচেতন। এই বিষয়ে সরকারের করণীয় নির্ধারণ করে সরকার তার কাজ করে যাবে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন মুখপাত্র জানান, ড.ইউনূসের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। মার্কিন সিনেটই এখন বিষয়টি তদন্ত করছে। এ দেশের নাগরিক হিসেবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে। সে নানাভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আশা করি সংশ্লিষ্ট সকল দফতর বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখবে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের তদন্তকাজে চাইলে ট্রাম্প প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে। ইতোমধ্যে জাপান সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম নতুন মার্কিন প্রশাসনকে ধন্যবাদও জানান। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ড. ইউনূসের বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি মার্কিন সিনেটের বিষয়। তবে তদন্তের স্বার্থে যদি কোনো সহযোগিতা চাওয়া হয় সে বিষয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে মার্কিন প্রশাসনকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। সম্পাদনা : বিশ্বজিৎ দত্ত