চুপ রাজাকার, চুপ!
জামায়াতি-হেফাজতিদের কোথাও কথা বলা বা দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। ২০১৩ সালের ৫ মে দেশি-বিদেশি মাস্টার-প্লান ‘শাপলা চত্বর’ ব্যর্থ করে দিয়েছে আমাদের দ, অভিজ্ঞ ও চৌকস আইনশ”ড়খলা বাহিনী। অসাধারণ পরিকল্পনা ও দ পরিচালনায়, আর যে মানুষটি পরিষ্কার বুদ্ধিদ্বীপ্ত রাজনৈতিক ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি আমাদের কঠিন সময়ের সহজ নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তার দ্ব্যর্থহীন নির্দেশ বিকাল ৫টার মধ্যে শাপলা চত্বর ছাড়তে হবে। শাপলা চত্বরকে তাহরিয়ার স্কয়ার (মিসর) বানাতে দেওয়া হবে না, যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ঢাকাকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত করার প্রয়োজনীয় নির্দেশ আইনশ”ড়খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে এবং সকল প্র¯’তি সম্পন্ন। আমরা কি জানি এই সর্বো”চ মাত্রার স্পর্শকাতর অপারেশনের নেপথ্যের ‘জেনারেল’ এর কথা?
৫ মে শুরু শেষÑ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১ম নির্দেশ ঞযবু সঁংঃ মড়. দ্বিতীয়, আমি চাই না একজন মানুষেরও ম”ত্যু হোক। তৃতীয়, ঞযব ঈরঃু সঁংঃ নব পষবধহবফ নবভড়ৎব ঃযব ফধৎশং বহফ. সারারাত অপলক ঞঠ-এর সামনে থেকে ফুটেজ দেখে একটার পর একটা নির্দেশ পাঠিয়ে পরি¯ি’তি নিয়ন্ত্রণ করে অভিযানের সফল সমাপ্তি। যে হেফাজত ছিল সরকারের হাতে বাদর নাচের ছড়ির মতো, সেই হেফাজতিদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বিশেষ সম্মানে যারা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ও ব্যব¯’া করেছে তারা যারাই হোন না কেন অনেক বড় তি করে দিলেন।
আবার শুরু হলো প্রতি শুক্রবারের বাদর নাচ এবং প্রত্যেক জুমার পর একটা ইস্যু আনবেই। গত শুক্রবারের ইস্যু (আবদার) ছিল সুলতানা কামাল আপাকে (কবি সুফিয়া কামালের কন্যা) গ্রেফতারের দাবি! সুলতানা কামাল সম্পর্কে ওই হেফাজতি ক্যানভাসাররা কি দাবি করল সেদিকে না তাকিয়ে ছড়ি আবার হাতে নিতে হবে এবং ওদেরকে পরিষ্কার বলে দিতে হবে, তোমাদের জন্য সকল প্রকার মিছিল মিটিং ‘হারাম’। গত শক্রবার কিভাবে বিনা অনুমতিতে সভা করল এ ব্যাপারে উগচর একটা ব্যাখ্যা দিতে হবে।
‘তেতুল হুজুর’ নোংরা মন্তব্য করেছেন নারীকে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে তা কোনো মুসলমান করতে পারে না। আহমদ শফী সাহেবকে স্পষ্ট করে বলতে হবে যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা, জাতীয় স্ম”তিসৌধে ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর এবং ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় বীরদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এগুলো কি তাদের কাছে ভালো লাগে, নাকি গায়ে জ্বালা ধরে? নাকি সময়ের অপো? ১. মুক্তিযুদ্ধ ও তার চেতনা, ২. জাতির পিতা শেখ মুজিব, ৩. রাষ্ট্র সকলের ধর্ম যার যার অর্থাৎ রাষ্ট্রধর্ম নিরপে। এই নীতিতে যারা নেই তাদের কোনোপ্রকার রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংগঠনিক বা কোনোপ্রকার সভা সমাবেশ করার অধিকার থাকতে পারে না, আর রাষ্ট্রীয় প”ষ্ঠপোষকতার তো প্রশ্নই আসে না। গত ১৫ দিনের অসু¯’তা শরীরের হাড় আর চামড়া ছাড়া অবশিষ্ট কিছু নেই। সু¯’ হবো এ আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। দোয়া করবেন।
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক