ঈদকে সামনে রেখে বনদস্যুদের ব্যাপক চাঁদাবাজি
শেখ সোহরাব হোসেন শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) : সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবন জুড়ে জেলেদের নিকট থেকে বনদুস্য সহ বিভিন্ন বাহিনী অব্যহত ভাবে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।মাছ আর কাকড়া ধরা জেলেদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি অব্যাহত থাকায় জেলেরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সুন্দরবনে কাকা দোবেঁকিতে কর্মরত জেলে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে কাশেম, হাতেম গাজি ও রহমত জানান, অস্ত্রের মুখে জেলেদের কাছ থেকে বনদুস্যরা চাঁদা আদায় করছে। এর পাশাপাশি অপহরণের ঘটনায় মুক্তিপণের মোটা অংকের টাকাও আদায় অব্যাহত রেখেছে বনদুস্যরা। পশ্চিম সুন্দরবনের মঞ্জু ,ইলিয়াস, মাস্টার বাহিনী জোনাব,আলিম, নোয়া মিয়া বাহিনী আত্মসমর্পন করলেও নামবিহীন ৩ বাহিনী সুন্দরবনে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। উপজেলা মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন সুন্দরবন সংলগ্ন হওয়ায় ৮০ ভাগ মানুষ সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল।গত মাসে ১০ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে বনদুস্যরা অপহরণ করে। জেলারা অনেকে তাদের সর্বস্ব বিক্রি করে মহাজনদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে বনদুস্যদের মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করেছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মাকসুদ আলম এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু বনদুস্য না সরকারী দপ্তরে অনেকেই ও চাঁদা তুলছে জেলেদের নিকট থেকে। তবে বন বিভাগ টহল অব্যাহত রাখা হয়েছে। সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার বলেন বনদুস্যদের দমনে আমি ইতোমধ্যে সুন্দরবনে উপকুলিয় জেলে বাওয়ালিদের নিয়ে মতবিনিময় ও সমাবেশ করেছি এ ছাড়া বনের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে বনদুস্য তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান