কালাইয়ে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং
মতলুব হোসেন,জয়পুরহাট :রমজান মাস শুরু থেকেই জয়পুরহাটের কালাইয়ে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এ রোজাদারদের নাভিশ্বাস উঠেছে। তারাবি, সেহরি ও ইফতারের সময় দূরে থাক, সারা দিন-রাতে দু’ঘণ্টাও বিদ্যুৎ মিলছে না। এমনকি লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের শীর্ষ মহলের নির্দেশও চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে।
ঘোষণা অনুযায়ী রমজান মাসে আধাঘন্টা করে সারা দিন-রাতে সর্বোচ্চ দু’ঘণ্ট লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও প্রথম রমজান থেকে এ পর্যন্ত ঘোষণার সঙ্গে কালাইয়ের গ্রাহকেরা বাস্তবের সাথে কোনো মিল খুঁজে পাননি। দু’ঘণ্ট লোডশেডিং তো নয়ই; বরং ওই দিন থেকে কালাই পৌর শহরসহ পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ মিলেছে দিন-রাতে গড়ে দু’ঘণ্টা। তাও আবার একটানা নয়; দু’ তিন ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে মিলেছে কিছুক্ষন বিদ্যুৎ। ১৫ মিনিট, আধাঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে লোডশেডিং করা হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে উপজেলার ১০টি হিমাগারের সংরক্ষিত আলু নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিযোগ হিমাগার মালিকদের। গ্রাহকরা জানিয়েছেন, রোজাদার মুসল্লীরা মসজিদে মসজিদে গিয়ে পাঁচওয়াক্ত নামাজ শুরুর পরপরই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শনিবার দিন-রাতে দীর্ঘ নয়’ঘণ্টা লোডশেডিং করার পর বিদ্যুৎ আসছে রাত ১১টায়। কিন্তু ১০/১২ মিনিটের মাথায় আবারও বিদ্যুৎ চলে যায়। একঘণ্টা লোডশডিং করার পর বিদ্যুৎ আসে রাত সোয়া ১২টায়। এরপর সারারাত চলে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি আসা যাওয়ার খেলা। একঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে তো পরের দু’ঘন্টা লোডশেডিং। শেষরাতে সেহরির আগেই চলে যায় বিদ্যুৎ। আসে আবার ভোর ৪টায়। ফজরের নামাজ শুরু হতে না হতেই আবারও বিদ্যুৎ চলে যায়। এভাবে গত শনিবার দিনে চলে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। ওই দিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কালাই শহরে ২ বারে গড়ে ১ঘন্টা ২০ মিনিট বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে। কালাই উপজেলাতে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ধারণ ক্ষমতা সম্পুর্ন উপজেলার সড়াইল ও দূর্গাপুরে ২টি সাব-স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। অথচ ওই ২টি সাব-স্টেশনে বিদ্যুৎ মজুত না করে পার্শ্ববতী ক্ষেতলাল উপজেলার ইটাখোলা সাব-স্টেশন থেকে ১.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে কালাই উপজেলার ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা পুরুন করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে রমজানের প্রথম রাত থেকেই লোডশেডিং এর অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় জয়পুরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কালাই উপজেলার গ্রাহকদের। এছাড়াও ভয়াবহ লোডশেডিং এর কারণে এলাকার ১০টি হিমাগারের সংরক্ষিত আলু নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ১০টি হিমাগারের কর্তৃপক্ষ। কালাই আহলে হাদিস মসজিদের ঈমাম সেলিম রেজা বলেন।,রমজান মাসেও কালাইয়ে সরবরাহে যে অরাজকতা চলছে এটা নজীরবিহীন।
পুনট কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক বিল্পব কুমার বলেন, দাদা যেভাবেই হউক কৃষকের সংরক্ষিত আলু রক্ষা করতে হবে।