হুমকিতে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ
কামরুল আহসান : ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে কাতারে। কিন্তু সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচের পাঁচটি দেশ কাতারের সঙ্গে সমস্ত রকম অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিন্ন করেছে। ইরান ইস্যুতে কাতারের নমনীয় মনোভাবের কারণে মধপ্রাচ্যে সৌদি নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক ব্লক দেশটির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ঠিক কতোদিন এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে ইতোমধ্যেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এরমধ্যে বেড়ে গেছে তেলের মূল্য। কারণ কাতার বিশ্ববাজারে অন্যতম তেল সরবরাহকারণ একটি দেশ। অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে অকল্পনীয় সমস্যার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে দেশটি। আগেই বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় বিশ্বাকাপ আয়োজনে তাদের অনেক কাটছাট করতে হয়েছিল। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী মোট ১২ অত্যাধুনিক মাঠ তাদের তৈরি করার কথা। কাতার আগেই জানিয়েছিল ১২টি মাঠ তারা তৈরি করতে পারবে না। নূন্যতম ৮টি মাঠই তারা তৈরি করতে পারবে। বিশ্বকাপের বাজেট তারা ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে চায়। ফিফা জানিয়েছে, এ নিয়ে কাতার সরকারের সঙ্গে তাদের এখনো কথাবার্তা চলছে। কিন্তু, এখন, হঠাৎ মধ্যপ্রাচ্যের সৃষ্টি হওয়া এ জটিলতার কারণে ফিফা ২০২২ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে খুব দ্বিধার মধ্যে পড়ে গেছে। এখনো তাদের কাছে এ সিদ্ধান্তের বিকল্প কেনো চিন্তা নেই। ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ কী হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। পরবর্তী বিশ্বকাপ ফুটবল দোরগোড়ায়। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়ায়। ফিফা এখন তা নিয়েই ব্যস্ত। এই অবস্থায় কাতার সমস্যা তাদের বড় কাতর করে ফেলছে। সিএনএন, রয়টার্স