ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধে সাদিক খানকে মার্কিন মেয়রদের সমর্থন
সালেহ ইউসুফ : যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ হাজার লোকের ১৪০০ চেয়ে বেশি সদস্য নিয়ে মেয়রদের সম্মেলনে বলা হয় আমরা সাদিক খানের সঙ্গে রয়েছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটেনে জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছেন বলে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান অভিযোগ করেছেন। লন্ডনের মেয়র মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বের সমালোচনাও করেন। শনিবার লন্ডনে সন্ত্রাসী আক্রমণ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জ্বালাময়ী টুইটের জবাব প্রসঙ্গে মেয়রের অফিস থেকে বলা হয়, তিনি এত ব্যস্ত ছিলেন যে জবাব দেয়ার সময় পাননি। লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলার পর মেয়র পাকিস্তাানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান এ ঘটনায় ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই’ বলে মন্তব্য করায় টুইটারে এর তীব্র সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘটনার রেশে কয়েকটি টুইট করেন ট্রাম্প। এর একটিতে সাদিক খানের
মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘কমপক্ষে সাত জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়েছে, আর লন্ডনের মেয়র বলছেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই’!”এদিকে মেয়র সাদিক খানের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে আবারো ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সমালোচনায় লেগেই থাকলেন। সমালোচনায় ট্রাম্প বলেন, খান মর্মস্পর্শী কারণ দেখালেন। আক্রমণের জবাবে রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনও করলেন না কোনো সতর্ক বার্তা দেয়া হয়নি বলে ট্রাম্প দাবি করেন। ট্রাম্প তার টুইটে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লন্ডনে হামলার ঘটনার রেশে সাদিক খানের সমালোচনা করতে পিছুপা হচ্ছেন ন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার জবাবে লন্ডনের মেয়র পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান বলেন, কিছু লোক বিভাজন ও দ্বন্দ্বের উপর ভর করে সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। আমরা কিছুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সেই বিভাজন সৃষ্টি করতে দিচ্ছি না। অন্যদিকে সাদিক খান মুসলিম বিধায় ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিবাদে জড়াতে চাইছেন কিনা যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিবেদকের এমন জিজ্ঞাসায় হোয়াইট হাউস বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে দেয়। হোয়াইট হাউজের ডেপুটি সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডারস এ বিষয়ে বলেন, আমি মনে করি প্রসঙ্গটি হাস্যকর।