বিড়ির উপর অতিরিক্ত শুল্ক ২০ লক্ষ শ্রমিকের সাথে ‘অবিচার’
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর আরোপিত শুল্কের ১১০ শতাংশ বৃদ্ধিকে বিশ লক্ষ শ্রমিকের সাথে ‘অবিচার’ও দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বাজার ধংস করে বিদেশী বনিকদের স্বার্থে পক্ষপাতমূলক বলে অভিযোগ করেছেন বিড়ি শিল্প উদ্যোক্তারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির নেতারা বাজেটে বিড়ির উপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান।
শুরুতে বিড়ি ও সিগারেটের তুলনামূলক স্বাস্থ্য ঝুঁকির উপর আলোচনা করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোহাম্মদ আব্দুস সবুর। তিনি বলেন, সিগারেটের তুলনায় বিড়িতে নিকোটিনের পরিমান কম থাকে। একটি সিগারেটে যেখানে নিকোটিনের মাত্রা সর্বনিম্ন ৪৮ শতাংশ সেখানে একটা বিড়িতে নিকোটিনের পরিমান গড়ে ৩০ শতাংশ। ফলে এখানে স্বাস্থ্য ঝুকি কম থাকে। উন্নত বিশ্বে টেন্ডু পাতার বিড়িকে সিগারেটের তুলনায় কম ঝুঁকি বলে ধরা হয়।
বিড়ি মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবনা এই শিল্পের সাথে জড়িত ২০ লক্ষ মেহনতি মানুষের আর্থ সামাজিক জীবনকে ঝুকি পুর্ন করে তুলবে। মহিউদ্দিন বলেন যেখানে প্রতি হাজার বিড়ির ট্যারিফ মুল্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে সেখানে বিদেশী কোম্পানির সিগারেটে মাত্র ১ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সম্পাদনা: উম্মুল ওয়ারা সুইটি