সিলেটিদের নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি, চাকরিচ্যুত জিটিভির সাংবাদিক
হুমায়ুন কবির খোকন : নিজের ফেসবুক একাউন্টে সিলেটিদের নিয়ে কটুক্তি এবং বিদ্বেষী স্ট্যাটাসের জন্য গাজী টিভির ক্রীড়া প্রতিবেদক জাওয়াদ নির্ঝরকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই স্ট্যাটাস নিয়ে কয়েকদিন ফেসবুকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। এদিকে গত মঙ্গলবার গাজী টিভি কর্তৃপক্ষ এক আদেশে জানায়,দায়িত্ব বহির্ভূত কাজে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিটিভির ক্রীড়া সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝরকে তার সমস্ত পেশাগত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। আইনানুগভাবে জিটিভিতে বর্তমানে কিংবা অতীতে কর্মরত যে কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর কোন ব্যক্তিগত কর্মকান্ড বা বক্তব্যের দায়ভার জিটিভির নয়।
জাওয়াদ নির্ঝর সম্প্রতি ইংল্যান্ডের লন্ডনে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিউজ কাভার করতে। সে তার ফেইসবুকে প্রথমে সকল লন্ডন প্রবাসী সিলেটিদের উদ্দেশ্যে একটি পোষ্টে লিখেন..লন্ডন যতটা না..তারচেয়েও বেশী খারাপ এখানকার সিলেটীরা! এরা না হইছে সিলেটের বাঙ্গালী..না হইছে!ব্রিটিশ..হইছে শুয়ারের বাচ্চা!’ তারপরে আরেকটা পোষ্টে লন্ডন প্রবাসী সকল ‘বাঙ্গালী’দের উদ্দেশ্যে (লন্ডনে অধিকাংশই সিলেটী) সে লিখেছে..’ফইন্নির ঘরের ফইন্নিদের লন্ডন থাইকা টাকা পয়সা হইছে ঠিকই ! মানুষ হইতে পারে নাই!’ লিখে আবারও পোষ্ট দেয়! লন্ডন প্রবাসী একজন জানান,লন্ডনের ওভাল ষ্টেডিয়ামের তুচ্ছ একটা অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে লন্ডনের সিলেটীসহ সকল বাঙ্গালীদের অপমান করার জন্য নির্ঝর স্ট্যাটাস দেয়। পরে পোষ্টগুলো ডিলিট করে দিয়ে আরেকটি পোষ্টে ক্ষমা চেয়ে লিখেছে…ওভালের প্রেসবক্স থেকে ফেরার সময় ফোনটা সেখানেই ভুলে রয়ে যায়। এই সময় কেউ ফোনটা নিয়ে সিলেটের মানুষজন সর্ম্পকে আপত্তিকর ও বাজে স্ট্যাটাস কমেন্টস দেয়। যেটা সম্পূর্ন উদ্দেশ্য প্রনোদিত..বাসায় ফিরে জানতে পারি, ফোনটাও বন্ধ। সিলেট বা সিলেটীয় কারো সাথে আমার কোন শক্রুতাও নেই.. কোন ইনসিডেন্ট ঘটেনি। এমন অনাকাংখিত ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কারো আঞ্চলিক অনুভূতিতে কোন আঘাত লাগার মতো ঘটনার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী..কারণ ঘটনাগুলো ঘটছে আমার প্রোফাইল থেকেই।