জঙ্গি ‘প্রতিপালন’ করতে ধর্মস্থানকে কাজে লাগানো হচ্ছে
ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের সীমান্ত অঞ্চলের মাজার বা দরগার মতো ধর্মীয় স্থানের দানপাত্রের টাকা দিয়েই এ মাটিতে গুপ্তচরদের পোষা হচ্ছে বলে দাবি করছে রাজস্থান পুলিশ। কারণ, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকার লেনদেন হলে, তা খুব সহজেই ধরা পড়তে পারে। এক সপ্তাহ আগেই রাজস্থানের বারমের জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ধরা পড়েছে দিনা খান নামে আইএসআই গুপ্তচর। রাজস্থানের এই অংশ ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চল। তাই পাকিস্তানি গুপ্তচর বা তাদের মদতপুষ্ট জঙ্গির আনাগোনা লেগেই রয়েছে এখানে। দিনা খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পেয়েছে রাজস্থান পুলিশের ইন্টালিজেন্স বিভাগ। দিনা খান জানিয়েছে যে, বারমের জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম চোহতানের একটি মাজারের দায়িত্ব ছিল তার উপর। এবেলা
মাজারের দানপাত্র বা ‘ডোনেশন বক্স’-এ ভক্তরা যে টাকা দেন, তার প্রায় পুরোটাই আইএসআই গুপ্তচরদের দিয়ে দেওয়া হয়। সতরাম মাহেশ্বরী ও বিনোদ মাহেশ্বরী নামে এমনই দু’জনকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দেয় দিনা খান। হাজি খান নামে আরও একজনকে সে টাকা দেয় বলে জানা গিয়েছে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাজস্থান পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন যে, পাকিস্তান থেকে দিনা খানকে ফোনে নির্দেশ দেওয়া হত কখন, কাকে, কত টাকা দিতে হবে। পুলিশসূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, আইএসআই গুপ্তচর সতরাম মাহেশ্বরী ও হাজি খান, দুজনেই এ বছরের শুরুর দিকে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ