কানাডা আপন মহীমায় বিশ্বপানে এগিয়ে যাবে
মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : যুক্তরাষ্ট্রের বহির্দৃষ্টি যখন অন্তর্মুখী, কানাডা তখন স্বকীয় মহীমায় বিশ্ব অঙ্গনে নেতৃত্বদানে এগিয়ে যাবে। এমন অত্যুৎজ্জ্বল দৃষ্টিভঙ্গীর অনুরণন ঘটেছে গত ৬ জুন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের কণ্ঠে। তিনি দেশটির পার্লামেন্টে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিপান তুলে ধরতে যেয়ে এসব কথা বলেন।
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড প্রতিবেশী দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখবিহীন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল পলিসি’ যখন প্যারিস জলবায়ু অঙ্গীকার পরিপূরণের পরিবর্তে রক্ষণশীল বাণিজ্য নীতিমালা আরোপ ও শরণার্থীদের জন্য নিজের দুয়ার বন্ধ করেছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। কেননা বাস্তবতাটি হচ্ছে, আমাদের সতীর্থ বন্ধু বিশ্ব নেতৃত্বের ক্ষেত্রে নিজেদের পাণে স্বচ্ছ ও স্বাধীন দৃষ্টি আরোপের প্রশ্নটি তুলেছে। তাই কানাডার জন্য তা হবে নবজাগরণ এবং যুদ্ধোত্তর বহুজাতিকতার সুসংহত দৃষ্টিভঙ্গী। আমরা সে পথেই এগিয়ে যাব যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুদের পাণে আমাদের উদারচিত্ত ও মুক্তবাহুযুগল মেলে, যা অতীতে সচরাচর আমাদের এক মোহনায় মিলিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ড তার সুদীর্ঘ বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওভারসাইজড রোল’ বা ‘উপর্যুপরি ভূমিকার’ প্রশংসা করে বলেন, অতীতে সে দেশটি বিশ্বে সবিশেষ ভূমিকা রেখেছে এবং তা থেকে কখনোই পথচ্যুত হবে না। আমরা আমাদের বন্ধুদের কাছে প্রত্যাশা করবো এবং অবিরত করেই যাব, কারণ আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব অব্যাহত রাখা শুধু তাদের স্বার্থেই নয়, বরং মুক্তবিশ্বের জন্য তা অত্যাবশ্যক।
একই সঙ্গে ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, বিগত ৭০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ‘ইনডিসপেনসাবল নেশন’ বা ‘অপরিহার্য জাতি’ হিসেবে আত্মাহুতি, সম্পদদান, কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গী ও নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে ‘লায়নস শেয়ার’ বা সিংহভাগ বিলিয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি বলেন, তাই হয়তো ‘বিশ্ব নেতৃত্বদানের দায়ভার ঘুচাতে’ অনেক ভোটারই দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ভোটদান করেছে। সে কথা কোনো বিতর্ক নয়, বরং সেটাই বাস্তবতা।
ই-মেইল: [email protected]