বুবু আছেন বলেই সাহস পাই
নাজমা আক্তার রোজী
নতুন প্রজন্ম, যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানত তারাও ভয়ে-আতঙ্কে কোনো প্রকার টু-শব্দ পর্যন্ত করেনি। কারণ, তখন কোনো নির্ভরযোগ্য রাষ্ট্রীয় অভিভাবক ছিল না। আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা ছিল শূন্য। সাহস ছিল রাষ্ট্রীয় অভিভাবকহীন ও অসহায়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধুকন্যা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। নতুন প্রজন্মের মাঝে আবারও সাহস সঞ্চয় হতে লাগল। আমাদের অভিভাবক ঘুরে দাঁড়াতে সাহস পেলেন। আবারও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের সত্যিকারের রাষ্ট্রীয় অভিভাবক পেয়ে বাঙালি জাতি নিজেদের হারানো অস্থিত্ব যেন খুঁজে পেয়েছে।
আজ সেই দীপ্ত সাহসে, অর্জিত বিশ্বাসে বাঙালি জাতির সেই কলঙ্ক মোচনে শেখ হাসিনার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে নতুন প্রজন্ম। সকল ভয়-উৎকণ্ঠা আর পিছুটান ঝেড়ে ফেলে দিয়ে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে-ময়দানে। যেমনি করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সৃষ্ট ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ হয়ে উঠে নতুন প্রজন্মের প্রতিবাদের বড় জায়গায়। তারা চিৎকার করে, প্রতিবাদের ঝড় তুলে পৃথিবীকে জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশকে নিয়ে কোনো ছিনিমিনি খেলা চলবে না। একাত্তরের ঘাতকদের কোনো জায়গা এই পবিত্র ভূখ-ে হবে না। বাংলাদেশকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র চলবে না। তরুণরা জগেে আছে। বাংলাদেশ জেগে আছে। অপশক্তিকে বিজয়ী হতে দেওয়া হবে না। হয়েছেও তাই। মানুষের জাগরণে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল। যা আজ ইতিহাস। গণজাগরণের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আবারও উজ্জীবিত করেছে নতুন প্রজন্মই। তরুণরা এত সাহস সঞ্চয় করে কোথা থেকে? জাতির জনকের বিশ্বাস থেকে, তার আদর্শ থেকে, ৩০ লাখ শহিদের কাছ থেকে। ২ লাখ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের কাছ থেকে। আর বঙ্গবন্ধুকন্যার কাছ থেকে। শেখ হাসিনা যে সাহস, শক্তিতে বলিয়ান হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারের তুলে ধরছেন একটি শান্তিকামী বিপুল সম্ভাবনার দেশ হিসেবে। অপশক্তির অপতৎপরতাকে কঠোরভাবে মোকালিা করে এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে নিয়ে। শত বাধাও তাকে প্রতিশ্রুত লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি। আমরা তার থেকেই সাহস সঞ্চয় করি। বলি, বুবু, আমরা তোমার কাছ থেকেই শক্তি পাই, সাহস পাই, উৎসাহিত হই, আনন্দিত হই, এগিয়ে যাই। তুমি সাহসের প্রতীক হয়ে আমাদের পাশেই থেকো। (শেষ)
লেখক: সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)
সম্পাদনা: আশিক রহমান