রাজধানীর মার্কেটগুলোতে বাহারি পোশাক জমে উঠেছে
ফারুক আলম : মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদকে ঘিরে সবার মধ্যে থাকে নানা আয়োজনের পরিকল্পনা। নতুন পোশাকই যেন ঈদের পূর্ণতা। তাই রোজার শুরুতেই অনেকে শুরু করেছেন ঈদের কেনাকাটা। এই কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে বাহারি পোশাকের সাজ। এতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে দম ফেলানোর যেন সময় নেই বিক্রেতাদের। ক্রেতাদের আগমনকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন সাজে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো।
রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমলে ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনে বিক্রি তেমন ভালো ছিল না। তবে ঈদ যতো এগিয়ে আসছে, ততোই জমে উঠছে ঈদের বাজার। এবারের ঈদের বাজারে তরুণীদের জন্য রয়েছে-ফ্রক, জিপসি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিস, সিনথেটিক ফ্রক। রাজধানীর নিউমার্কেটের চাঁদনীচকে এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায়। পাশাপাশি ঈদে তরুণীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে, বজরঙ্গি ভাইজান, বাজিরাও মাস্তানি, সারারা প্রভৃতি ভারতীয় পোশাক। বসুন্ধরা শপিংমলে এসব পোশাক বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকায়।
আজিজ সুপার মার্কেটে পাঞ্জাবির দিকেই ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। বিভিন্ন ধরন ও নকশার পাঞ্জাবি এসেছে এবার। পাশাপাশি রয়েছে ফতুয়া, শার্ট ও প্যান্ট। অন্যদিকে মেয়েদের জন্য সালোয়ার কামিজ, টুপিস, টপস, ওড়না, সালোয়ার, শাড়িসহ বিভিন্ন কিছু পাওয়া যাচ্ছে। আকলিমা আক্তার নেহা ঈদের পোশাক কিনতে এসে তিনি বলেন, সাধ্যের মধ্যে রুচিশীল পোশাক কিনতে আজিজ মার্কেটের বিকল্প নেই। এছাড়া নিত্য-নতুন ডিজাইনের দিক থেকে অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় এখানে অনেক ভালো। তাই প্রায় প্রতিবারই এখান থেকে ঈদে শপিং করি।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় একটু সকাল সকালই ঈদের কেনা কাটায় বেরিয়ে পড়েছেন বেসকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রনি আক্তার।
এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, এবারের ঈদে দেশি পোশাকের চেয়ে বিদেশি পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি। ঈদের আগের দিনগুলোতে ব্যবসা আরো জমে উঠবে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা। ক্রেতাদের কয়েকজন জানান, মার্কেট জুড়ে দেশি-বিদেশি নানান ডিজাইনের পোশাক থাকায় পছন্দ করে কেনা যাচ্ছে। এরমধ্যে বিদেশি পোশাকের প্রাধান্য বেশি। তবে অনেকে আছেন যারা, ঈদের জন্য দেশি বুটিকস, সুতি কাপড়কে বেছে নিচ্ছেন। আবার অনেকে মানসম্মত পোশাক পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন।