পদত্যাগের আহ্বান করবিনের থেরেসার না
কামরুল আহসান : নিজের বাজিতে নিজেই হেরে গেলেন থেরেসা মে। প্রয়োজন ছিল না আগাম নির্বাচনের, বলছেন এখন তার দলের লোকজনই। কিন্তু ব্রেক্সিট বিতর্ক এড়াতে তিনি আগাম নির্বাচন দিলেন। এর পেছনে ছিল অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস। ভাবছিলেন নিজের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ব্রেক্সিট সম্পর্কে নিজের মতামতকে আরো পাকাপোক্ত করবেন। সংসদে আরো কিছু আসন বাড়াবেন। কিন্তু হলো হীতে বিপরীত! গত নির্বাচনে তাদের আসন ছিল ৩৩০টি। এবার পেয়েছেন ৩১৭টি। হারিয়েছেন ১৩টি। এককভাবে জয়ী হতে দরকার ছিল ৩২৬টা। সুতরাং কনজারভেটিভ দল এবার আর এককভাবে সংসদ গঠন করতে পারছে না। তার জন্য তাদের অন্য দলের সহযোগিতা দরকার। সংসদ ঝুলে গেছে। ক্ষমতা বাড়ানোর বদলে ক্ষমতা আরো কমালেন থেরেসা মে। স্রেফ নিজের সাথে বাজি ধরে।
অন্যদিকে, তার বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বিজয়ী না হলেও পরাজিত হননি। বরং জয়ীই বলা যায় তাকে। গত সংসদে তাদের আসন ছিল ২২৯টি। এবার পেয়েছেন ২৬১টি। ৩২টি বেড়েছে। বিপুল জয়। সংসদে তাদের ক্ষমতা আরো বাড়লো এবং লেবার পার্টিকে সমর্থন দিচ্ছে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তাদের ভোট অবশ্য কিছু কমেছে। গতবার ছিল ৫৪টি আসন, এবার পেয়েছেন ৩৫টি। ২১টি আসন হারিয়েছেন।
আর অল্পের জন্য পারলেন না জেরিমি করবিন। তাও খুব কাছে চলে গিয়েছেন। তাই আহবানই জানিয়েছিলেন, থেরেসা মে তার জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। বৈধতাও হারিয়েছেন। তার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। তার স্থিতিশীল ভাবমূর্তি ধুলায় লুটিয়ে গেছে।
থেরেসা মে অবশ্য সেই আবহানে সাড়া না দিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়বেন না। তিনিই দায়িত্বে থাকবেন।
ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) দলের সহযোগিতা নিয়ে সরকার গঠন করার অনুমতি দিলেন থেরেসা। ডিইউপি পেয়েছে ১০টি আসন। সেই ১০ আসনই শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে দিল থেরেসা মেকে। নির্বাচনের পরদিন বাকিংহাম প্যালেসে গিয়ে রানির সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের অনুমতি নিয়ে আবার নিজের প্রধানমন্ত্রীত্বের ঘোষণা করলেন থেরেসা মে!