দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য আসছে কম দামে খাদ্য সরবরাহ কার্যক্রম
তরিকুল ইসলাম সুমন : দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীদের জন্য সরকারের চালু হওয়া বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচি আর রাখতে চায় না অর্থ মন্ত্রণালয়। বিনামূল্যের জায়গায় নিয়মিতভাবে কম দামে জাতীয় খাদ্য সরবরাহ কার্যক্রম চালুর পক্ষে চিঠি দিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। গত ৫ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, দেশের ভালনারেবল মানুষের জন্য চালু করা এ কর্মসূচিটি বন্ধ করা উচিত হবে না। দেশে মজুদ কমে যাওয়া এবং আমদানির মাধ্যমে এ কর্মসূচি ধরে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে। এসব বিবেচনা করেই হয়তো অর্থ মন্ত্রণালয় এ ধরনের চিঠি দিয়েছে। তবে ভিজিএফের আওতা কমিয়ে কম দামে জাতীয় খাদ্য সরবরাহ কার্যক্রমও চালু করা যেতে পারে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে ভিজিএফ কার্ডধারী প্রায় ১ কোটি পরিবার রয়েছে। ভিজিএফ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রধান ধর্মীয় উৎসবসহ নানা সময় বিনামূল্যে ২০ কেজি করে চাল সহায়তা হিসেবে দেওয়া হতো।
চিঠিতে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বর্তমানে সাধারণ ভিজিএফ নামে একটি খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি রয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ উপলক্ষে সরাসরি খাদ্য বিতরণে খাদ্য মন্ত্রণালয় দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে যথেষ্ট বরাদ্দ দিয়ে থাকে। আমার মনে হয় এখন ভিজিএফ কার্যক্রম পরিচালনা করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। আমরা নিয়মিতভাবে (ফেয়ার প্রাইস ১০ টাকা) প্রায় ৫ মাসের জন্য অনেক খাদ্য বিতরণ করি। সেই খাদ্য বিতরণের জন্য যে বরাদ্দ করা হয়, সেখানেই সমুদয় চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করতে পারি। তাই আমার প্রস্তাব, ভিজিএফ কার্যক্রম এখন থেকে বাদ দিয়ে নিয়মিতভবে কম দামে জাতীয় খাদ্য সরবরাহ কার্যক্রম চালু করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর সূত্র জানায়, গত ঈদুল ফিতরে বিনামূল্যে ২০ কেজি করে চাল দিয়েছিল সরকার। চলতি বছরও তালিকাভুক্ত প্রায় ১ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) কর্মসূচির মাধ্যমে ২০ কেজির পরিবর্তে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। ১৫ রোজার মধ্যে এসব চাল সংশ্লিষ্ট উপজেলায় পৌঁছে দেওয়া হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ