আমতলীতে কুমির আতঙ্ক কাটেনি
জয়নুল আবেদীন, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : গত ১৫/২০ দিনি ধরে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলা লাঘোয়া ১০ কিলোমিটারের মধ্যে পায়রা নদীতে কুমির দেখে জেলেরা মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে স্থানীয় বাজারে মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে ইলিশ ধরার মৌসুম শুরু হয়েছে। জেলেরা ভয়ে নদীতে মাছ ধরতে যেতে সাহস পাচ্ছে না।
কয়েকদিন আগে থেকে জেলে ও ¯’ানীয় লোকজন বঙ্গোপসাগর মোহনা টেংরা গিরি বিট সংলগ্ন পায়রা নদীর শুরু থেকে উত্তর পশ্চিম প্রান্তে বালিয়াতলী ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত নদীতে ৭টি কুমীর দেখতে পেয়েছে। কুমির দেখে জেলেরা মাছ ধরতে নদীতে যাচ্ছে না। জেলেদের ধারনা সুন্দর বনাঞ্চল সংলগ্ন কটকা কিংবা বলেশ্বরী নদী থেকে পথ হারিয়ে কুমির পায়রা নদীতে প্রবেশ করেছে। এখন পর্যন্ত কোন মানুষকে আক্রমন করে হত্যা করতে পারেনি।
এদিকে পায়রা নদীর মাছ স্থানীয় বাজারে না আসায় ঘেরের মাছ বাজার গুলোতে উঠছে। মানুষ নদীর মাছ না পাওয়াতে চরাদামে ঘেরের মাছ ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। বেশী চলছে তেলাপিয়া ও পাংগাশ। বাজারে রুই মাছের কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা এবং ঘেরের পাংগাশ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তালতলীর গাবতলী গ্রামের মো. ইসহাক জানান এখনো জেলেদের কুমীর আতঙ্ক কাটেনি। জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে যাচ্ছে না।
শনিবার মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে মাছ ব্যবসায়ীরা ঘেরের ও খালের চিংড়ি, সাদা মাছ (ঘেরের) বিক্রি করছে। জেলে ইউসুফ মিয়া জানান গত ১৫ দিন ধরে নদীতে মাছ ধরতে যেতে সাহস পা”িছ না। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। তালতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শামীম রেজা বলেন এখন কুমির আতঙ্ক জেলের কেটে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে কুমির যেখান থেকে এসেছে সেখানে চলে গেছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান