নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে আ.লীগ-বিএনপি
শাকিল আহমেদ : আগামী জাতীয় নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন মত। নির্বাচনে ইভিএম প্রয়োগে সরকার চাপ প্রয়োগ করবে না বলে জানান ড. মোঃ আবদুর রাজ্জাক, অন্যদিকে নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি বলে মনে করেন ড. আবদুল মঈন খান। গতকাল শনিবার সকালে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজনে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বিষয়ক এক সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা চাই নির্বাচন কমিশন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করুক। বাংলাদেশের সংবিধান সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাধিক ক্ষমতা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ নৈতিক শক্তি দিয়ে এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।
নির্বাচন সহায়ক সরকার সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি এ বিষয়ে দাবি করলেও এখন পর্যন্ত এ ধরণের সরকারের কোনো রূপরেখা উপস্থাপন করেনি। তবে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে সরকার সব ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, প্রযুক্তি এক শতাংশ ভুল করলেও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। তাই যন্ত্র ব্যবহারের সাথে যে মানুষ সম্পৃক্ত আছেন তাদের সততা ও স্বছতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত ইভিএমের ব্যবহার বা ইভিএম মেশিন রাজনৈতিক দলগুলোর নিকট উন্মুক্ত করেনি। যে কারণে এ মেশিনের কার্যকারিতায় স্বছতা ও জবাবদিহিতা সম্পর্কে কেউ জানে না।
তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি তাই বর্তমান সরকার কোনোভাবেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তিনি উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, যে পদ্ধতিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক না কেন দেশের জনগণ চায় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। দেশে যাতে আর কোন একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় তার জন্য প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলকে জাতীয় স্বার্থে যার যার অবস্থান থেকে ছাড় দিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো উচিত। প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিককে পরাজিত করে বিরোধী দল প্রাইম ইউনিভার্সিটি বিজয়ী হয়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ