‘উন্নত ও প্রগতিশীল বলেই কাতারকে আটকানোর চেষ্টা’
প্রিয়াংকা পান্ডে: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনার মুখে কাতার। এখানেই শেষ নয়, এ ঘটনার পরই কাতারে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ইতোমধ্যেই ‘কাতার সন্ত্রাসবাদের উচ্চমাপের অর্থদাতা’ বলে ট্রাম্পের কথার জবাব দিয়েছের কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কাতার উন্নত ও প্রগতিশীল বলেই তাকে আটকানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এতে কোন লাভ হয়নি। এখনো কাতারের বিপক্ষে রয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন কাতারের প্রতিবেশী উপসাগরীয় দুই দেশ সৌদি আরব ও বাহরাইন।
এর মধ্যেই কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে একঘরে করে ফেলেছে সৌদি, বাহরাইন সহ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর। এই দেশগুলোর অনুরোধে ইয়েমেন, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকার, মালদ্বীপ, মৌরিতিয়া, ও সেনেগালও কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে একই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরিত্রিয়া। এই বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যিপ এরদোগানও। তিনি বলেছেন, তিনি সৌদি আরবের এ ডাকে সাড়া দেবেন না। তার দেশ কখনোই কাতারকে ছেড়ে যাবে না। কাতারকে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, এসব সমস্যা থেকে উদ্ধারের পথ বের করতে শনিবার মস্কো গিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরাহমান আল-থানি। বিভিন্ন উপসাগরীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংকট নিরসন প্রসঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদেন একজন সঙ্গীকে এভাবে সংকটপূর্ন অবস্থায় দেখে আমরা খুশি হতে পারি না। আমরা এটির সমাধান নিয়ে ভাবছি।’ বিবিসি ,আরব নিউজ