সেমিফাইনাল নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ
রকিবুল হাসান
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বিজয় এবং ইংল্যান্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হার। অতঃপর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত হওয়া। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। বাংলাদেশের সামনে এখন ফাইনালের হাতছানি।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম চারজন ব্যাটসম্যান মোট ২৫ রান করে আউট হবার পর ২৬৬ রান করে জয় পাওয়ার ঘটনা সত্যিই অবিস্মরণীয়। দলের সামনে ছিল সেমিফাইনাল খেলার একটা কঠিন হাতছানি। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলকে ভয়াবহ বিপদ থেকে যেভাবে সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলকে জয় উপহার দিয়েছেন, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। দুজনের চ্যাম্পিয়নের মতো ব্যাটিং ক্রিকেট ইতিহাসে তো বটেই, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য অবিস্মরণীয় বিজয়।
সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ২২৪ রানের রেকর্ড জুটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। খাদের কিনারায় পড়ে যাওয়া থেকে এই জুটি বাংলাদেশকে জয়ের দারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। এই বিজয় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। ক্রিকেটকে শুধুমাত্র সমৃদ্ধই করিনি, বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিশ্বের মঞ্চে আরও সম্মানিত করেছে। একইসঙ্গে আমাদের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার পথে আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
অনেকেই বাংলাদেশের সাফল্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এই বিস্ময় প্রকাশ করার মাধ্যমে আমাদের অর্জনকে খাটো করা হচ্ছে। আজ বাংলাদেশ ভালো করছে বিধায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। গত বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে। এ অর্জন দলের জন্য তো আর একদিনে সম্ভব হয়নি। সাকিব-মাহমুদউল্লাহর কল্যাণে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে বিজয় সাধিত হলো এটাকে অবিস্মরণীয় বলা যেতে পারে। বাংলাদেশ দল যে ভালো করছে তার জন্যই আজ নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে হটিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কে হবে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে দলের উচিত সেরা খেলাটা খেলা। আমাদের খেলোয়াড়দের মন উজাড় করে খেলতে হবে। তাদের চোখে-মুখে থাকবে জয়ের নেশা। আমাদের যোগ্যতা আছে সব দলের সঙ্গে ভালো ক্রিকেট খেলার। বাংলাদেশ দল যে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সেই বিশ্বাসটা খেলোয়াড়দের তৈরি হয়ে গেছে। আমাদের বিশ্বাস বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল খেলবে।
পরিচিতি: সাবেক অধিনায়ক, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
মতামত গ্রহণ: বায়েজিদ হোসেন/সম্পাদনা: আশিক রহমান