বিশ্বমঞ্চে ট্রাম্পের মতো লোকের উপস্থিতি উদ্বেগের ব্যাপার
ইনাম আহমেদ চৌধুরী
মক্কার কাবা শরীফসহ মুসলিম দেশগুলোকে সন্ত্রাসের কবল থেকে রক্ষার জন্য সৌদি আরব জোট করেছে। বাংলাদেশও সৌদি জোটের অন্তর্ভূক্ত। এ ছাড়া এই জোটে আরও আছেÑ পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশ। সৌদি জোট নিয়ে এই দেশগুলোর অবস্থান এখনো খুব পরিষ্কার নয়। মনে হচ্ছে নিজেদের স্বার্থের জন্য মধ্যপন্থা অবলম্বন করবে বা করতে চায় তারা। বাংলাদেশকেও সৌদি জোট নিয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে হবে। সৌদি জোট নিয়ে নিরপেক্ষ নীতি বজায় রাখতে হবে। কেননা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল হল সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শ্রুত্রুতা নয়। সৌদিসহ বেশ কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসবাদকে মদদ দেওয়ার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এটা একটা বড় সংকট। এমন অবস্থায় আমাদের উচিত হবে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা। কাতার সংকটের সুরাহা বা সমঝোতার ব্যাপারে যদি আমাদের কোনো ভূমিকা থেকে থাকে তাহলে মতামত প্রকাশ করা। বাংলাদেশ সমস্যায় পড়বে যদি সৌদি জোট থেকে কাতার বিষয়ে চাপ দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশের বক্তব্য হওয়া উচিত, আমরা সবসময় সন্ত্রাস এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে। সুতরাং এখানে কাতারকে জোট থেকে বের করে দিলে, সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকা-ে কী উন্নতি হবে আমরা বুঝতে পারছি না। কাতার ছোট একটি দেশ। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়া সঠিক হবে না। যাইহোক এ বিষয়ে আমাদের উপর চাপ এলে তাতে নতজানু হওয়া চলবে না। আমাদের দৃঢ়তা দেখাতে হবে। নির্মোহ অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। কারও পক্ষাবলম্বন করা সঠিক হবে না।
আমাদের বলতে হবে আমরা যেকোনো সন্ত্রাস এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে সামিল হবো। কেননা আমরা উদার ইসলামে বিশ্বাস করে থাকি। কিন্তু কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করব এটা আমাদের সমীচীন হবে না। কাতারের সঙ্গে ইরানের সমর্থন আছে, রাশিয়ার সমর্থন আছে, তুরস্কেরও সমর্থন আছে। চীনও হয়তো সমর্থন দিতে পারে। আর ট্রাম্পের মতো লোক কখন কি বলেন তার তো কোনো ঠিক নেই। বিশ্বমঞ্চে ট্রাম্পের মতো লোকের উপস্থিতি উদ্বেগের ব্যাপার। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়া থেকেই বোঝা যাচ্ছে পৃথিবীর মানুষের প্রতি তার কোনো সমবেদনা নেই।
পরিচিতি: ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান