‘দেশের নৌপথের উন্নয়ন হলে এশিয়ার অনেক দেশই লাভবান হবে’
হাসান আরিফন : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান এবং চীনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
গতকাল সকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের কর্মসূচি বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। আনলকিং দ্য ট্রান্সফরমেটিভ পাওয়ার অব ওয়াটার ওয়ে শীর্ষক এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশস্থ ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পারালকার। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)’র সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। দিনব্যাপী কর্মশালায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের শতাধিক বিশেষজ্ঞ ব্যাক্তি অংশ গ্রহণ করেন।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, সরকার বাংলাদেশের ৬৫টি নদীর অভ্যন্তরীণ নদীর নৌ পথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে ১২টি নদীতে অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক কাজ করছে। এই কর্মসূচি সফল হলে ৫৩টি নৌরুটে যাত্রী পরিবহনসহ মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের নৌপথ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের নদী পথগুলি দ্রুত সচল ও আরো সক্রিয় করতে হবে।
তিনি বলেন, নদীপথ সক্রিয় হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর দিয়ে দৈনিক প্রায় ২ লাখ যাত্রী পরিবহনসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল পরিবহন সহজতর হয়ে উঠবে ।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশের ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথের মধ্যে বর্ষকালে ৬ হাজার এবং শুষ্ক মওসুমে ৪৫০০ কিলোমিটার পথ সচল থাকে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদী পথের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের নদী পথের উন্নয়নে যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়ন হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক এই কর্মশালার মাধ্যমে বাংলাদেশের নদী পথের উন্নয়নের একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পাওয়া যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।