ঘুষ, দুর্নীতি এবং সত্যের মাপকাঠি
আহমদ আবদুল্লাহ
একজন মুমিন হিসেবে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হওয়া। স্বীয় জীবন সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অনুধাবন করা। এজন্য সর্বপ্রথম দেখতে হবে প্রতিটি দল বা সংগঠনের ভক্তবৃন্দদের, যারা প্রভাবিত হয়েছে উক্ত দলের। তাদের কর্মকা-, চলাফেরা, ভাবভঙ্গি, উঠাবসা এবং কথাবার্তা। সংগঠনের ভক্তদের আচার-আচরণ আর শিষ্টাচারই বলে দিবে দলের অধিপতির পরিচয়। তিনি ন্যায়ের পথে নাকি ভ্রান্ত পথের পথিক। উক্ত দলের কর্মকা- শরিয়ত সম্মত কিনা? ভক্তদের ভাবভঙ্গির মাধ্যমেই দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে উঠবে আপনার কাছে। তাই কোনো দল যাচাই করার জন্য সত্যিকার অর্থে ভক্তদের দিকে দেখুন। উত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রথম যুগে সাহাবায়ে কেরামের মজলিস ছিল, আল্লাহর আরাধনা সম্বলিত। সত্যের আলোচনা ও উপাসনালয় প্রেরণা পাবার মূলক্ষেত্র। রবের স্মরণে ক্রন্দন এবং রব্বুল আলামিনের প্রশংসনীয় কথাবার্তা। জুতার সামান্য ফিতা ছিড়ে গেল নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছেই ছিল প্রথম চাওয়া। ঝড়ঝাপটা বা ভূমিকম্প হলে রবের স্মরণে মগ্ন হয়ে পড়তেন তৎক্ষণাৎ। পক্ষান্তর বর্তমান সময়ে কোনো দলের ভক্তবৃন্দ একত্রিত হলে শুরু হয় পরনিন্দার মহড়া। চারদিক শোরগোল। অন্যান্য দলের কুৎসা রটানো সঙ্গে আমিরদের নিয়ে হেয় বাক্য। সকলের মুখে উচ্চারিত নিজ নেতার বাহ বাহ ধ্বনি। প্রশংসনীয় সংলাপ, স্বীয় আমিরের গুণগান। সর্বত্র শুধুই আপন দলের সুনাম। পরিতাপের বিষয় আজকাল স্বয়ং নেতাবর্গদের থেকেও খুবই কুরুচিপূর্ণ আলোচনা প্রকাশিত হচ্ছে। নিজ সংঘটনকে বিকশিত করবার জন্য অন্যের পরনিন্দা কি খুব প্রয়োজন? অন্যের সমালোচনা কি জরুরি? আমার বোধ বলে, একদমই না। অন্য দলের বদনাম গেয়ে সম্মুখে এগোবার পথকে রুদ্ধ করা হয়। বিকশিত করার দ্বার চিরতরে আবদ্ধ করার নামান্তর। আলেম সমাজ, সাধারণ জনগণের নিকট ঘৃণিত পাথ হিসেবে বিবেচিত হয়। ইতিহাস সাক্ষী। উদাহরণ এখানে নিষ্প্রয়োজন। চাই দলটি রাজনৈতিক হোক বা অরাজনৈতিক। সত্যপথ যতটা কণ্টকপূর্ণ, ঠিক ততটা মিষ্টতাপূর্ণ। (শেষ)
লেখক: কলামিস্ট /সম্পাদনা: আশিক রহমান