আশা ফাইনাল স্বপ্ন পূরণ হবে
ইরেশ যাকের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও ভালোলাগার বিষয়। কেননা এই প্রথম বাংলাদেশ আইসিসি আয়োজিত বড় কোনো টুর্নামেন্টে সেমিফাইলনাল খেলার গৌরব অর্জন করেছে। দেশের অগণিত ক্রিকেট ভক্তের অনেক দিনের স্বপ্ন আজ পূরণ হওয়ার পথে। বাংলাদেশ দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে ভালো ক্রিকেট খেলে ফাইনালের স্বপ্ন পূরণ করা। তবে সেমিফাইনালে আসা দলগুলোও ভালো ক্রিকেট খেলে এসেছে। সেমিফাইনালে সব দলের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করি আমি। আমি বিশ্বাস করি, ভালো ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য বাংলাদেশের দলের রয়েছে। ইতোমধ্যে পারফরমেন্সের মাধ্যমে তা প্রমাণও করেছি বিশ্বের কাছে।
ভারত ক্রিকেটে অনেক শক্তিশালী একটি দল। তাদের রয়েছে দীর্ঘদিনের ক্রিকেট অভিজ্ঞতা। তারা বিশ্বকাপ জয়ী দল। পরিসংখ্যানে হয়তো তারা আমাদের চেয়ে শক্তিশালী দল কিন্তু গত কয়েকবছরে যে ক্রিকেট আমরা খেলেছি তা ঈর্ষণীয়। ২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে আমরা কোয়াটার ফাইনাল খেলেছি। সে অভিজ্ঞতা সেমিফাইনালে কাজে লাগবে বলে আমার ধারণা। টাইগার ক্রিকেটাররা দেশের মানুষকে জয় উপহার দিবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এখন বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বি এই দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে। যখন বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ হয় তখন দর্শকের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা, উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। আগে আমরা দেখতাম, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ সিরিজ, পরবর্তীতে ভারত-পাকিস্তানের যেকোনো ম্যাচ নিয়ে দর্শকের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করত। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের ম্যাচেও দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা থাকে। এ বিষয়টি খেলাকে আরও প্রাণবন্ত ও রোমাঞ্চিত করে তোলে। বাড়তি উত্তেজনা খেলার মাঠে খেলাকে ভিন্নমাত্রা এনে দেয়। খেলায় প্রতিযোগিতা থাকবে এবং উত্তেজনা থাকবে এটা খেলোয়াড়দের বাড়তি অনুপ্রেরণা বা উৎসাহ হিসেবে কাজ করে।
পরিচিতি: অভিনেতা
মতামত গ্রহণ: বায়েজিদ হোসাইন/সম্পাদনা: আশিক রহমান