বাস্তবে যেমন দেখতে ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে
ডেস্ক রিপোর্ট : কলকাতার স্টার জলসায় এখন ‘ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ’ ধারাবাহিকে শুরু হয়েছে মহাভারত পর্ব। আর ‘মহাভারত’-এ দ্রৌপদীই সম্ভবত সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র। এবেলা
পাঞ্চাল রাজকন্যা দ্রৌপদী। এই ধারাবাহিকে দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবযানী মোদক। শুধু পাঁচ স্বামীর জন্য নয়, দ্রৌপদীকে বলা যেতে পারে অনুঘটক। কৌরব ও পা-বদের মধ্যে উত্তরাধিকারের শত্রুতা যা ছিল তা তো ছিলই, কিন্তু দ্রৌপদী যদি দুর্যোধনের গলায় মালা দিতে অস্বীকার না করত বা কর্ণকে সুতপুত্র বলে অপমান না করত, তা হলে হয়তো গল্পটা একটু অন্য রকম হতো। তবে ধর্মযুদ্ধ অনিবার্য ছিল। বিষ্ণু ধর্মপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেই শ্রীকৃষ্ণ রূপে ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তাই অধর্মের উপর ধর্মের জয়কে প্রতিষ্ঠা করতে একটা ‘শেষ’ যুদ্ধের প্রয়োজন ছিলই। সেই যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিত খুব সুচতুরভাবে, একটু একটু করে বুনে তোলা হয় দীর্ঘ সময় ধরে। আর সেই বুননের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সুন্দরী, রন্ধনপটীয়সী, বিদূষী, বুদ্ধিমতী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্না ‘পাঞ্চালী’ কন্যা। ইন্দ্রপ্রস্থ নির্মাণের পরে, অতিথি দুর্যোধন পানিকে স্ফটিক ভেবে যখন নাকানিচোবানি খাচ্ছিলেন, তখন দ্রৌপদী যদি তাকে ‘অন্ধের ছেলে অন্ধ’ বলে দুয়ো না দিতেন তবে হয়তো প্রতিশোধ নিতে বস্ত্রহরণের মতো জঘন্য পাপের ভাগী হতেন না কৌরবরা। সব মিলিয়ে দ্রৌপদীকে ছাড়া মহাভারত প্রাণহীন আর তাই এই চরিত্রের কাস্টিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ