দুদক ও ভুটানের দুর্নীতি দমন কমিশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও ভুটানের দুর্নীতি দমন কমিশনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং ভুটান দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারপারসন মিস কিনলে ইয়াংজুম নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এই সমঝোতা স্মারকে দুর্নীতির প্রাথমিক অনুসন্ধান, সনাক্তকরণ, প্রমাণকরণ, দুর্নীতি প্রতিরোধসহ অভিজ্ঞতার বিনিময়, উত্তম চর্চা, দুর্নীতি প্রতিরোধে শিক্ষা কর্মসূচিসহ ৮টি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির ক্ষেত্রে ছোট-বড় কোনো ইস্যু নয়, দুর্নীতি দুর্নীতিই। এই দুর্নীতিই দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে কেবল দুর্নীতিই দেশের জিডিপির ২ থেকে ৩ শতাংশ খেয়ে ফেলছে। তাই দুর্নীতিকে ন্যূনতম প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। দুর্নীতি দমন করা সত্যিই চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে কমিশন দুর্নীতি দমনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমনে দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। আমরাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অবলম্বন করেছি। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমনে এনজিও, সুশীল সমাজ, মিডিয়া তথা সাধারণ মানুষের আকুণ্ঠ সমর্থন পাচ্ছি।
তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সর্বশেষ প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচকে ভুটানের অবস্থান ২৭তম। বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিকে। সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভুটানের উত্তম চর্চাসমূহ গ্রহণ করতে চায়। এটা হবে দুই কমিশনের মধ্যে দ্বিমুখী যোগাযোগ। স্ব-স্ব দেশের আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে সকল প্রকারের তথ্য বিনিময় করা হবে। দুর্নীতি দমনে আমরা একটা মিশন নিয়ে এসেছি।
ভুটান দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারপারসন কিনলে ইয়াংজুম বলেন, ভুটান এবং বাংলাদেশের দুর্নীতির প্রক্রিয়া অভিন্ন। ভুটান সরকার দুর্নীতি দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। ভুটানের দুর্নীতি দমন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৬ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ