অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাকাত
মাহদি হাসান সজিব : ইসলামের যতোসব বিধান রয়েছে সবগুলোর পেছনেই আছে নিগুঢ় রহস্য। পৃথিবী শান্তিময় করার শাশ্মত চিরবিধান। মানুষের মাঝে সৌহার্দ ও ভালোবাসা বৃদ্ধির। হোক না সেটা চুরির হাত কাটা কিংবা মহিলাদের পর্দা। জগৎ শান্তিময় করতে এসবের জুড়ি মেলা ভার। অনুরুরপ দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল করতেও রয়েছে ইসলামিক ব্যবস্থা। তা হলো জাকাত। যা আর্থিক ইবাদাত। ইসলামের পঞ্চভিত্তির এক অন্যতম স্তম্ভ।
জাকাত শব্দের অর্থ বৃদ্ধি, পবিত্রতা। দুটো অর্থই জাকাত প্রদানের মাহত্ম্য বুঝায়। অর্থাৎ যে যতো দান করবে তার ধন ততই বাড়বে। যদিও প্রত্যক্ষ্য খরচটাই বুঝায়। কিন্তু পরোক্ষভাবে রয়েছে সম্পদের বৃদ্ধি। আর দ্বিতীয় অর্থের ব্যাপারে কুরআনে বলেন ‘হে নবী, তাদের সম্পদ হতে যাকাত (সাদাকা) গ্রহণ করুন, যা দ্বারা আপনি তাদের পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন। স (তওবা:১০৩) অর্থাৎ জাকাত হলো পবিত্রকারী। যেটা স্বীয় মালের ময়লা সাফ করে পুত পবিত্র করে। আর যে টাকা পয়সা ধন সম্পদ ময়লামুক্ত হয়ে পুত ও পবিত্র হবে তাতো অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।
জাকাত যেহেতু আর্থিক ইবাদাত আর ইবাদাতের মাধ্যমে অর্জিত হয় রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি। আর এ সন্তুষ্টির দ্বারাই তো নির্বাপিত হবে যত অভাব। মোচন হবে দুঃখ। বাড়বে সচ্ছলতা। যেহেতু এর সম্পর্ক অর্থনীতির সঙ্গে। তাইতো রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন, দরিদ্র বিমোচন, বেকারত্ব লাঘব, শিক্ষা, অর্থনৈতিক চাকা সচল করাসহ সবকিছই সম্ভব ঠিকমতো জাকাত আদায়ের দ্বারা।
বাংলাদেশে লাখো ধনোকুবের রয়েছে। তারা যদি সঠিক পন্থায় জাকাত আদায় করে তবে মানুষ দরিদ্র থাকতে পারে না কিছুতেই। সকলে লাভ করবে সচ্ছলতা। না খেয়ে দিনাতিবাহিত করার প্রয়োজন পড়বে না কোনো হীন দরিদ্রের। শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড উক্তিটার শতভাগ বাস্তবয়ান সম্ভব তখনই কোমলমতি বাচ্চারা বেঁচে যাবে শিশুশ্রম থেকে। সভা সেমিনার কিংবা সংগঠনের প্রয়োজন পড়বে না এজন্য। তাছাড়া ধনীদের সম্পদের কৃতজ্ঞতাও আদায় হবে এভাবে। জনগনের চোখে সম্মানিত হবে সে। মানুষের ভালোবাসারও পাত্র হবে। এতসব ফায়দা এই অর্থনৈতিক ইবাদাতের দ্বারাই সম্ভব।