আডভানিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি চান শত্রুঘœ
ডেস্ক রিপোর্ট : সুযোগ পেলেই দল বিরোধী মন্তব্য করে বসেন। এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েও বোমা ফাটালেন ‘শটগান’ শত্রুঘœ সিনহা। নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহর সঙ্গে বনিবনা নেই যাঁর, সেই লালকৃষ্ণ আডভানিকে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া চেয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে একের পর এক ট্যুইট করতে দেখা যায় তাকে। তাতে লেখেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে অসংখ্য প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। অনেকেই আমাকে লিখে পাঠিয়েছেন। সেখান থেকে কিছু বার্তা তুলে দিলাম। একজন লিখেছেন, ‘সংবিধানের জটিলতা বুঝতে সক্ষম আডভানিজি। জরুরি পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। কারও দ্বারা প্রভাবিত হন না। দেশের বৃহত্তম স্বার্থকেই সর্বদা অগ্রাধিকার দেন।’ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি বিজেপি। আগামী ২৩ জুন নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে তারা। তার আগে ‘বিহারি বাবু’র এমন মন্তব্যে দলের অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছে। আজকাল
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই মোদি-শাহদের সঙ্গে খটাখটির সূত্রপাত শত্রঘœর। ৮৯ বছর বয়সী আডভানিকে সেই সময় বিজেপির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য করা হয়েছিল। শুরু থেকেই নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসানোর বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। তাতে সায় দেন শত্রুঘœও। কিন্তু তাদের মতামত গ্রাহ্যই করেননি দলের শীর্ষ নেতারা। তারপর থেকে সুযোগ পেলেই মোদি সরকারকে দু’কথা শুনিয়ে ছাড়েন শত্রুঘœ। এমনকী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির বিরোধ যখন তুঙ্গে উঠেছিল, সেই সময় দুই নেতার সঙ্গে খোশগল্প করতেও দেখা যায় তাকে। আগামী ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ ফুরোচ্ছে প্রণব মুখার্জির। এখনও পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা না করলেও, কাজে নেমে পড়েছে বিজেপি। বিরোধীদের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডুকে নিযে একটি তিন সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে। বসপা নেত্রী মায়াবতী এবং এনসিপি-র শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ইতোমধ্যেই একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে তাদের। শুক্রবার কংগ্রেস দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বিরোধিদের সঙ্গে মীমাংসায় আসতে পারলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা ফুরোবে। কিন্তু তা না হলে, আগামী ১৭ জুলাই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। তার তিনদিন পর ফলাফল ঘোষণা হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ