বেসামরিক লোকদের জীবনের বিনিময়ে রাক্কা পুনরুদ্ধার হওয়া উচিত নয় : জাতিসংঘ
ইমরুল শাহেদ : জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত তদন্তে নিয়োজিতরা বলেছেন, বেসামরিক লোকদের জীবনের বিনিময়ে রাক্কা পুনরুদ্ধার হওয়া উচিত নয়।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর বিমান হামলায় রাক্কা অঞ্চলে মার্চ মাসেই নিহত হয়েছে প্রায় তিন শ’ মানুষ। তাদের মধ্যে রাক্কা কাছের গ্রাম আল-মনসুরায় নিহত হয়েছে দুই শত লোক। মার্কিন যৌথ বাহিনী বিমান হামলার মাধ্যমে ইসলামিক স্টেটের হাত থেকে রাক্কা পুনরুদ্ধারে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ) ও কুর্দিশ যৌথ বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে। গত সপ্তাহে এসডিএফ বাহিনী রাক্কার পশ্চিম, পূর্ব ও উত্তরাঞ্চল জিহাদীদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে। জাতিসংঘ তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান পাওলো পিনহেইরো বলেছেন, ‘পুরো শহরে বিমান হামলা তীব্রতর করা হয়েছে।’ রাক্কার লড়াইয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েও গেছে। কোয়ালিশন বাহিনী বলেছে, রাক্কা দখল করে নিতে পারলে ২০১৪ সালের জুনে শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আইএসের প্রতিষ্ঠা করা ‘খিলাফত’ পতনের মুখে পড়বে। রাক্কায় ৪ হাজারের মত জঙ্গি আছে বলে ধারণা করছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। তাদের মধ্যে রয়েছে বিদেশি যোদ্ধা এবং অনেক প্রবীণ সদস্যও। শহরটিতে মোট কতজন বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়ে আছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে জাতিসংঘ কর্মকর্তরা বলছেন, এ সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ হতে পারে। পাওলো পিনহেইরো বলেছেন, যদি শহরটি কোনোভাবে মুক্ত করা যায় তাহলে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক লোক মুক্তি পাবে। বিশেষ করে ইয়াজিদি নারী ও মেয়েরা। তাদেরকে গত তিন বছর থেকে জিহাদীরা যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করে আসছে এবং জিহাদীরা সেখানে চালাচ্ছে গণহত্যা। তিনি বলেন, তবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইটা বেসামরিক লোকদের জীবনের বিনিময়ে হওয়া উচিত নয়। ইসলামিক স্টেটের উপস্থিতিতে তারাতো সেখানে বাস করছে নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। সূত্র : স্কাই নিউজ