বাড়তি দামে বাসের টিকিট, তবুও খুশি
ডেস্ক রির্পোট : ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর পরিবহন কাউন্টারগুলো থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৬০টিরও বেশি রুটের যাত্রীদের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে।
কিন্তু টিকিট ছাড়ার প্রথম দিন থেকে বাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, টিকিটের দামও বাড়ছে। তবে দাম যাই হোক, টিকিট পেলেই খুশি; স্বস্তির হাসি ফুটছে সবার মুখে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি দামে অগ্রিম টিকিট কিনতে হচ্ছে। টিকিটের দাম কাউন্টার ও এলাকা ভেদে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। গাবতলীর হানিফ কাউন্টার থেকে টিকিট কেনেন মো. হাছানুজ্জামান শাহ। তিনি বলেন, নীলফামারীর সৈয়দপুরে যাওয়ার জন্য ২২ ও ২৩ জুনের টিকিট খুঁজলাম। না পাওয়ায় ২১ তারিখ সকালের টিকিট নিলাম। সব সময় ৫৫০ টাকা টিকিট নিলেও এখন কিনতে হয়েছে ৬৫০ টাকা দিয়ে। ২৭ জুন ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য দিন ধরে ২২ ও ২৩ জুন বাড়ি ফেরা যাত্রীদের চাপ থাকবে বেশি। ২৭ জুন ঈদ হলে আগের দিন সোমবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। এর আগে ২২ জুন বৃহস্পতিবার। পরদিন ২৩ ও ২৪ জুন শুক্র ও শনিবার নিয়মিত ছুটি থাকে। ২২ জুন সরকারি চাকরিজীবীসহ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা শেষ কর্মদিবস ধরে অফিস শেষে ঢাকা ছাড়বেন। যারা এ দিনের টিকিট পাবেন না, তারা শুক্রবার ঢাকা ছাড়বেন। ফলে ২৪ থেকে ২৬ জুন চাপ একটু কম থাকবে।
এ সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু কিছু লোক। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট নিচ্ছেন অনেকে। এছাড়া প্রতি বছরের ন্যায় কালোবাজারি, হয়রানি-তো রয়েছে। উত্তরবঙ্গগামী বেশিরভাগ কোম্পানির বাসের টিকিটপ্রতি ৩০ শতাংশের কাছাকাছি বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। দক্ষিণের পরিবহনের টিকিটেও রাখা হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়তি দাম। ঠাকুরগাঁও যাবেন দারুল ইসলাম। অন্য সময় যখন টিকিটের দাম গুণতে হয় জনপ্রতি ৬০০ টাকা সেখানে আজ তাকে কিনতে হয়েছে ৮২০ টাকায়। সূত্র- জাগো নিউজ