ঈদ সামনে রেখে সিলেট নগরীতে বাড়তি নিরাপত্তা
রাজু চৌধুরী ও মোকলেছুর রহমান : দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। শহরের প্রত্যেকটা রাস্তায় বেড়েছে যানজট। ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে সিলেট শহরের বিপনীবিতানগুলো। বাড়ছে নগরীর ব্যস্ততা। জমে ওঠতে শুরু করেছে ঈদের বেচাকেনা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবারও ছাড় দিতে রাজি নয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অপরাধীদের ধরতে মাঠে নেমেছেন তারা। এ লক্ষে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এবারের রমজানে ছিনতাইকারীদের ধরতে এবং শহরে ছিনতাইর মতো অপরাধ কমিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল এসএমপি। তবে শুধু ছিনতাই নয়, বরং ঈদকেন্দ্রীক সকল অপরাধ ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনাও করেছে এসএমপি।
নগরীর বিভিন্ন মোড়ে, বিপনীবিতান ও বড় বড় মার্কেটগুলোর সামনে অপরাধীদের ধরতে দায়িত্ব পালন করছে পুরিশ। পুরুষ সদস্যের পাশাপাশি নামানো হয়েছে নারী সদস্যরা।
সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে কোনো অপরাধী চক্র যাতে নগরীতে বিচরণ করতে না পারে, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা যাতে বজায় থাকে, এজন্য পুলিশ প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। নেয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মহানগরী জুড়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। নগরীতে নিরাপত্তায় কাজ করছেন দুই সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, পূর্ব জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, বারুতখানা, নয়াসড়ক, আম্বরখানাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরুষ পুলিশের পাশাপাশি নারী পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নগরীতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০ রমজান থেকে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়ার কথা থাকলেও শহরবাসীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ১৬ রমজান থেকেই নগরীতে তারা কাজ শুরু করেছেন। নারী চোর চক্রের সদস্য ও নারী ছিনতাইকারী ধরতে নারী পুলিশ এবং পুরুষ ছিনতাইকারী ও অপরাধী ধরতে পুরুষ পুলিশ সদস্য মাঠে কাজ করছেন। এছাড়া থাকছে স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোটরসাইকেল ফোর্স। সবমিলিয়ে নগরীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এসএমপি তৎপর বলে জানান তিনি। আরো জানান, পোশাকধারী নারী সদস্য ছাড়াও ইভটিজিং-বখাটেপনা ঠেকাতে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিপনীবিতান এবং বিভিন্ন পয়েন্টে নামানো হয়েছে ছদ্মবেশী মহিলা পুলিশ সদস্য তৎপর রয়েছে।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপাত্তা দেখে সাধারণ মানুষও অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। অনেকই বলছেন এবার নগরীতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করায় ঈদের কেনাকাটা নিরাপদে করা যাচ্ছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান