পিরোজপুরের অর্ধ লক্ষ পরিবার পাচ্ছে ৫শ মেঃ টন চাল
ডেস্ক রির্পোট : সরকার পবিত্র রমজান মাস ও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে বিতরণের জন্য প্রায় ১ লক্ষ মেঃ টন চাল বরাদ্দ করেছে। দেশের ৩২৬টি পৌরসভা ও ৪৯০টি উপজেলার অনুকূলে এই বরাদ্দের চিঠি দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। দুস্থ, অতি দরিদ্র, বন্যা ও দুর্যোগাক্রান্ত মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ৩২৬টি পৌরসভায় ১১ হাজার ৭শ’ নিরানব্বই এবং ৪৯০টি উপলজেলায় ৮৭ হাজার ৯১৯ মেঃ টন চাল বিতরণ করা হবে।
এদিকে পিরোজপুরে পবিত্র রমজান মাস ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আক্রান্ত এবং দুস্থ ৫০ হাজার পরিবারের জন্য সরকার ভিজিএফ কার্ড এর বিপরীতে ৫০৮.৪৭৭ মেঃ টন চাল বরাদ্দ করেছে। পিরোজপুরের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সঞ্জিব দাস বাসস কে জানান দুস্থদের মধ্যে চাল বিতরণ কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং ঈদ-উল ফিতরের পূর্বের সকল ভিজিএফ কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণ কার্যক্রম শেষ হবে। পিরোজপুর জেলার ৩টি পৌরসভা পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া এবং স্বরূপকাঠীর ১৩ হাজার ৮শ’ ৬৩ টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ১শ’ ৩৯ মেঃ টন চাল বিতরণ করা হবে।
এছাড়া নব গঠিত ভান্ডারিয়া পৌরসভার ১ হাজার ৫শ’ ৪০টি দুস্থ পরিবারের জন্য ১৫.৪০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। পিরোজপুর সদর উপজেলার ৫ হাজার ৮টি কার্ডের জন্য ৫০.০৮০ মেঃ টন, ভান্ডারিয়া উপজেলার ৮ হাজার ১শ’ ২৮টির জন্য ৮১.২৮০ মেঃ টন, ইন্দুরকানী উপজেলার ৩ হাজার ৫শ’ ৯১ টির জন্য ৩৫.৯১০ মেঃ টন, মঠবাড়িয়া উপজেলার ৮ হাজার ৪শ’ ৯৪ টির জন্য ৮৪.৯৪০ মেঃ টন, কাউখালী উপজেলার ২ হাজার ১শ’ ৭৬টির জন্য ২১.৭৬০ মেঃ টন, নাজিরপুর উপজেলার ৩ হাজার ৭শ’ ৪২টির জন্য ৩৭.৪২০ মেঃ টন এবং নেছারাবাদ উপজেলার ৪ হাজার ৩শ’ ০৮টি কার্ডের জন্য ৪৩.০৮০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে চাল বিতরণ শুরু এবং শেষ হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং প্রতিটি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাক অফিসার এই চাল বিতরণ তদারকি করবেন। চাল বিতরনে কোন ধরনের অনিয়ম এর অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে। সূত্র- বাসস
পুঁজিবাজারে সূচক ঊর্ধ্বমুখী অব্যাহত
মাসুদ মিয়া : দেশের পুঁজিবাজার গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। দেশের দুই বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। তবে আর্থিক লেনদেন কমেছে। এই নিয়ে তিন কার্যদিবস ধরে পুঁজিবাজারে সূচক ঊর্ধ্বমুখী অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে। যা বুধবার ৫ পয়েন্ট ও মঙ্গলবার ৫ পয়েন্ট বেড়েছিল।
গতকাল ডিএসইতে ৫৩০ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন হয়েছিল ৫৪৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকার বা ৩ শতাংশ। এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানির মধ্যে ১৫০টি বা ৪৫.৪৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ১১৯টি বা ৩৬.০৬ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টি বা ১৮.৪৮ শতাংশ কোম্পানির।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের কোম্পানির শেয়ার। এ দিন কোম্পানির ২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি ফাইন্যান্সের ১৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এ্যাপোলো ইস্পাত।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৪৯ পয়েন্টে। বাজারটিতে ২৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া ২৪৬টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৪টির, কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৪৬টির।
আগের দিন সিএসইর সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ৩ পয়েন্ট বেড়েছিল। আর বাজারটিতে ৩৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।