কার দোষে রেকারের চাপা মীমের ভাগ্যে?
রিকু আমির : জুলেখা দিচ্ছিলেন রিকশা ভাড়া, সেসময়ই একটি রেকারের পেছনের অংশের চাপ পড়ে রিকশায় বসে থাকা জুলেখার সাড়ে ৬ বছর বয়সের কন্যা মীম পেটে আঘাত পেয়ে আর্তচিৎকার করে উঠে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গুলিস্তান মাজার ঘেঁষা পল্টনমুখী লেনে এ ঘটনা সরেজমিনে ঘটতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী ইব্রাহিম এ প্রতিবেদককে বলেন, রিকশা ভাড়া দিচ্ছিলেন বাচ্চাটির মা। তখনই রেকারটি অসতর্কতাবশতঃ পেছনের দিকে গেলে বাচ্চাটি চাপা পড়ে চিৎকার করে উঠে। ড্রাইভার পুলিশ প্রথমে চিৎকার শোনেননি। গাড়ি ক্রমাগত পেছনেই যাচ্ছিল। একপর্যায়ে আশপাশে আমিসহ অন্যদের চিৎকার-চেঁচামেচির পর গাড়িটি থেমে পুলিশ নেমে এসে রিকশা চালককে শাসাতে থাকে।
রিকশা চালক জহির মিয়া বলেন, গাড়ি পিছনে আনব ভালা কতা। মাইনষে দেইখা হুইনা তো পিছে নেয়। কতা নাই বার্তা নাই, সিংগেল (সিগন্যাল) নাই, পিছে ঠেলা মারছে। আরেকটু হইলে বাচ্চাটা মইরাই যাইত।
বেশ কাঁদতে কাঁদতে জুলেখা ঘটনাস্থলের পাশে থাকা শরবত বিক্রেতার কাছ থেকে বরফ নিয়ে ক্ষতস্থানে মর্দন করতে থাকেন। তিনি বলেন, আরেকটু হইলে বাচ্চাটা আমার গেছিলো গা।
জুলেখা থাকেন আশুলিয়া জিরোবোতে। গতকাল সকালে সেখান থেকে বাসে চড়ে আসেন চাঁনখারপুলে। সেখান থেকে রিকশায় চড়ে আসেন গুলিস্তান মাজারের কাছে। কমলাপুরে বসবাসরত তার বোনের বাসায় যাচ্ছিলেন বলে জানান জুলেখা।
রেকার চালক পুলিশ সদস্যের নেমপ্লেট খালি ছিল। তিনি নাম বলতে চাননি। তিনি রিকশা চালককেই দোষারোপ করেন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ